একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭ টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। তবে পরে বিজেপি ছেড়ে ৭ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেন। বিজেপির তরফে ওই ৭ বিধায়কের বিরুদ্ধে দলবদলের অভিযোগ তোলা হয়েছিল বিধানসভায়। তবে ৭ বিধায়ক খাতায় কলমে বিজেপিতে রয়েছেন বলেই স্পষ্ট করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি সাফ জানিয়েছেন, ওই সমস্ত বিধায়করা যেহেতু খাতায়-কলমে দলবদল করেননি তাই তাদের বিরুদ্ধে এখনই কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না।
আরও পড়ুন: ‘বিল আটকে রাখার অধিকার নেই’, এবার সরাসরি রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন স্পিকার
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়, কৃষ্ণ কল্যাণী, তন্ময় ঘোষ, বিশ্বজিৎ দাস সহ ৭ বিধায়ক। তবে বিজেপির তরফে বিধানসভার ৬ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। তা সত্ত্বেও কেন বিধানসভার তরফে পদক্ষেপ করা হচ্ছে না? তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেন, যাদের বিরুদ্ধে দলবদল করার অভিযোগ উঠছে তারা খাতা-কলমে কিন্তু এখনও বিজেপিতে রয়েছেন। তাছাড়া সংবাদমাধ্যমে কী দেখাচ্ছে তার ভিত্তিতে বিধানসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা কেউ কিন্তু বলেননি যে দল ত্যাগ করেছেন। তারা সকলেই বলছেন দলেই রয়েছেন। অধ্যক্ষের বক্তব্য, বিধায়করা সরকারের কাছে সাহায্য চাইতেই পারেন। তার মানে এই নয় যে তারা দল বিরোধী কাজ করেছেন। সরকারি সুবিধা চাওয়ার জন্য দল বিরোধী কাজ বলে মনে করে কোনও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭ আসন পেয়েছিল বিজেপি। পরে দলের বিধায়ক নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার বিধায়ক থেকে ইস্তফা দিয়ে সাংসদ হিসেবে থেকে যান। এরফলে বিজেপির সদস্য পদ নেমে দাঁড়ায় ৭৫টিতে। পরে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এবং কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেন। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সঙ্গে মতানৈক্যের কথা জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। আর গত অক্টোবরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমে হল ৬৮।