তৃণমূলকে দাঙ্গাবাজ বলে ত্রিপুরা মিশন নিয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে তৃণমূলের ত্রিপুরা জয়ের আহ্বানকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ। তাঁর মতে, যেখানে একটা পুরসভা বা পঞ্চায়েতের সদস্য পর্যন্ত নেই, সেখানে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে তৃণমূল।
এদিন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ হরণের দায় তৃণমূলের ঘাড়ে চাপিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, ‘কোথায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, সেটা তো কোর্ট বলে দিয়েছে। ওনারা যদি মানুষকে বোকা ভাবেন, তাহলে মানুষ ওনাদেরকে বোকা ভাববে। ভোটের পরে হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কোথাও কিছু হয়নি। এখন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলছেন, তাঁর দলেরই ১৬ জন লোক মারা গিয়েছে। তাঁর মানে হিংসার ব্যাপারটা উনি স্বীকার করে নিয়েছে। বাকি দেশে কোথাও কোনও আন্দোলন নেই, সিবিআইয়ের তদন্ত নেই, শিক্ষকরা রাস্তায় বসে নেই, কেউ জেলে যাচ্ছে না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই সব হচ্ছে। সারা দেশটা দেখার জন্য লোক আছে, আগে উনি পশ্চিমবঙ্গটা সামলান।’
একই তৃণমূলের ত্রিপুরা অভিযান নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানান, ‘অন্য জায়গায় গিয়ে তৃণমূলের উৎপাত করা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। বাঙালির বদনাম করেছিল সিপিএম। ইউনিয়ন করে, বনধ করে ঝামেলা ঝঞ্ঝাট করত। এখন তৃণমূল অন্য রাজ্যে গিয়ে দাঙ্গা করছে।’ একইসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কয়লাকাণ্ডে ইডির তলব নিয়ে মুখ খুলেছেন দিলীপ। তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে দিলীপ জানান, ‘কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে, সহযোগিতা করুন। নিজেকে উনি ভিখারি দেখাচ্ছেন, ওনার ভাইপোর ১২ কোটি টাকার বাড়ি। এত টাকা কোথা থেকে এল? মানুষজন সব কিছু বোঝেন। তদন্ত শুরু হয়েছে। সত্যিটা সব বেরিয়ে আসবে।’