সামান্য হলেও ফের রাজ্যে উর্ধ্বমুখী করোনার সংক্রমণ। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যে কয়েকটি জেলার পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক হলেও সামগ্রিক পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। হাওড়া পুর এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। আক্রান্তের পাশাপাশি করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পেশ করা বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এখন রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৭৪১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৯২ জন। উল্লেখ্য, সোমবার রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫২৪ জন। করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রে জেলার নিরিখে কলকাতার স্থান প্রথমে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ জন। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮ জন। ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ জন। এছাড়া হুগলি ও নদিয়াতেও গত ২৪ ঘণ্টায় সংখ্যা যথাক্রমে ৩৬ জন ও ৩২ জন। একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিঙয়েও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ভালোই। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন।
এদিকে দুর্গাপুজোর আগে পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়, সেজন্য কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে হাওড়া প্রশাসন। হাওড়ার ১২টি ওয়ার্ডে ১৬টি মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নস্কর পাড়া রোড, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ মন্দির পথ, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রোজ মেরি লেন, শৈল কুমার মুখার্জী রোড, রাঘব মল থেকে সিস্টার নিবেদিতা স্কুল, পিলখানা বাজার, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোপাল ব্যানার্জি লেন, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের রামেশ্বর মালিয়া লেন, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের আন্দুল রোড, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের আন্দুল রোড, নবনারী তলা ফাস্ট বাই লেন, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের যদু মুখার্জী লেন, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের নর্থ বাকসারা, ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের পি এন ঘোষ রোড, ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোস্বামী পাড়া রোড, ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের আশুতোষ মুখার্জী লেন এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। পুর এলাকা ছাড়াও হাওড়া জেলাজুড়ে বেশ কয়েকটি এলাকা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।