চার পুরনিগমের ভোটগ্রহণ পিছানো নিয়ে পৃথক প্রতিক্রিয়া বিজেপি ও সিপিআইএমের। শনিবার কমিশনের তরফে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারির পরও একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। ওদিকে কমিশনের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এদিন সুজনবাবু বলেন, আমরা তো প্রথম থেকেই ভোট পিছনোর দাবি জানিয়েছিলাম। কমিশন সর্বদল বৈঠক ছাড়াই একতরফাভাবে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এখন তৃণমূলের নির্দেশে অসম্পূর্ণ একটা বিজ্ঞপ্তি জারি করে দায় সারছে। কবে ভোটগ্রহণ, এতদিন প্রচারের কী হবে তার কোনও উল্লেখ নেই ওই বিজ্ঞপ্তিতে। এই কমিশনারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। কমিশনার তাঁর সাংবাদিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে জানেন না।
সুকান্তবাবু যদিও কমিশনের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তো প্রথম থেকেই ভোট পিছনোর কথা বলেছিলাম। পরে অনেকে সেই দাবি তুলেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোট দিতে ভয় পাবেন বলে আমাদের মনে হয়েছিল। কমিশন অবশেষে তা মানতে বাধ্য হয়েছে।’
বলে রাখি, শনিবার দুপুরে চার পুরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পিছনোর কথা ঘোষণা করে কমিশন। ২২ জানুয়ারির বদলে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। তবে মাঝের দিনগুলিতে প্রচার করা যাবে কি না, বা ভোটগণনার দিনক্ষণ কী হবে তা কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।