সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা করাতে গিয়ে হাত বাদ গেল ১৯ বছরের এক সদ্যবিবাহিত তরুণীর। গত ১৭ জানুয়ারি তাঁর হাতের তালু কেটে বাদ দেন SSKM হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৬ জানুয়ারি। নিউমোনিয়ায় কাহিল হয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন রেজিগনগরের গৃহবধূ সুস্মিতা মণ্ডল। অভিযোগ এর পর ২ দিন কোনও চিকিৎসাই হয়নি তাঁর। ৮ জানুয়ারি বিকেলে তাঁর ডান হাতে একটি চ্যানেল করেন চিকিৎসকরা। শুরু হয় স্যালাইন ও অন্যান্য পথ্য দেওয়া। কিন্তু চ্যানেল করার পর থেকেই হাতে অসহ্য যন্ত্রণা হতে থাকে সুস্মিতার। ক্রমশ কালো হতে থাকে হাতের তালু। অসাড় হয়ে যায় হাতের ওই অংশ।
অভিযোগ, চিকিৎসক ও নার্সদের এব্যাপারে বারবার জানালেও কর্ণপাত করেননি তাঁরা। উলটে ডান হাত থেকে চ্যানেল খুলে বাঁ হাতে চ্যানেল করা হয়। ৯ তারিখে হাতের অবস্থা খারাপ বুঝে কলকাতায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ১০ তারিখ সকালে সুস্মিতাকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
এর পর ২টি অস্ত্রোপচার করে তরুণীর হাতে রক্তসঞ্চালন ফেরানোর চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তাতে সাফল্য মেলেনি। অবশেষে তরুণীর প্রাণ বাঁচাতে তাঁর হাতটি তালু থেকে কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
এই ঘটনায় রাজ্যের হেল্থ রেগুলেটরি কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তরুণীর পরিজনরা। তাঁদের দাবি, ৮ ও ৯ তারিখ হাতে যন্ত্রণার কথা বারবার জানালেও তাতে কর্ণপাত করেননি চিকিৎসকরা। যার ফলে হাতের তালু বাদ দিতে হয়েছে। তাই ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন তাঁরা।