সর্বদলীয় বৈঠক ছাড়াই ভোট ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন বিরোধী নেতৃত্ব। তবে এবার মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই শুরু হল তুমুল অশান্তি। ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মীকে মনোনয়নপত্র দেওয়ার জেরে এক সরকারি কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আবার মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতার পকেটে পিস্তল। তবে এবার অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে সর্বদলীয় মিটিং ডাকার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আগামী ১৩ জুন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অশান্তির আবহের মধ্যেই সর্বদলীয় মিটিং ডাকার উদ্যোগ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আগে কেন এই বৈঠক ডাকা হল না? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী নেতৃত্ব।
৯ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত মনোয়নন পত্র জমা দেওয়ার দিন। আর তার একেবারে শেষ পর্বে ডাকা হল সর্বদলীয় মিটিং। এনিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, সর্বদলীয় মিটিং তো আগে দরকার ছিল। এখন সর্বদলীয় মিটিং ডাকছে। তবে আমরা ভোটের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আমরা সব আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেব। দিলীপ বলেন, প্রায় দেড় লক্ষ সিভিক ভলান্টিয়ার আছে। পায়ে চটি হাতে লাঠি। সিভিক পুলিশকে বলছি ঝামেলায় জড়াবেন না। এসব করতে গেলে কিন্তু সমস্যা হয়ে যাবে। ৮-১০ হাজার টাকা পান। তাই নিয়ে সুখে থাকুন।
এদিকে আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট। আগামী ১১ জুলাই ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়নপর্ব জমা দেওয়ার কাজ। তবে সেখানেও অশান্তির বাতাবরণ।
তবে বিজেপি নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন এভাবে রাজ্য পুলিশকে দিয়ে ভোট করানো যাবে না।। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির প্রতিনিধিদল। সেই প্রতিনিধি দলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রমুখ অনেকেই ছিলেন। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। গতকাল একজন কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছেন। কে কী করেন সেটা বড় কথা নয়। কিন্তু একজন সহনাগরিক খুন হয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে হয় তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা দরকার। চুক্তিভিত্তিক কর্মী যেমন সিভিক ভলান্টিয়ার, প্যারা টিচারদের এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হোক।