ফের একবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি অফিসে হাজির হলেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। শুক্রবার সকালে মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে ইডি অফিসে যান পরেশবাবু। উল্লেখ্য, পরেশ অধিকারীকে এর আগে একাধিকবার তদন্তকারীদের মুখোমুখি হলেও এই প্রথম মেয়ে অঙ্কিতাকে জেরা করছে ইডি। সকাল ১১ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে প্রবেশ করতে দেখা যায় পরেশ ও অঙ্কিতাকে।
উল্লেখ্য, হাই কোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই চাকরি গিয়েছে অঙ্কিতা অধিকারীর। বদলে নিয়োগ পেয়েছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকার। এই আবহে তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন, ‘অঙ্কিতার নিয়োগ কীভাবে হল, কারা এর পিছনে ছিল...’। এই নিয়েই তদন্ত চলছে এখন। এর আগে গত সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি অফিসে হাজির হয়েছিলেন পরেশ অধিকারী। প্রায় চার ঘণ্টা পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সেদিন জানিয়েছিলেন, বাজেয়াপ্ত হওয়া নথি ফেরত নিতে গিয়েছিলেন তিনি।
ইডি সূত্রের খবর, মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনি ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য কোনও টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, কীভাবে টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে তা জানতেই তলব করা হয় পরেশ অধিকারীকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরেশের যোগ কতটা ছিল? মেধাতালিকায় অঙ্কিতার নাম ওপরের দিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তৎকালীন এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির কী ভূমিকা ছিল? প্রভাব খাটনো হয়েছিল কিনা, শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী হিসেবে তিনি নিজে এই বিষয়ে কতটা অবগত ছিলেন... এ সব বিষয়েই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে পরেশকে।