তৃতীয়বারের জন্য নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিল। এখানে অনেকের দফতর রদবদল হয়েছে। তার মধ্যে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিল্প ও বাণিজ্য, তথ্য প্রযুক্তি, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে। যেখানে আগে তিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। সেখানে নিয়ে আসা হয়েছে ব্রাত্য বসুকে। তাঁর দফতর স্কুল শিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষা। কিন্তু কেন এই পরিবর্তন? যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসে ব্রাত্য বসুকেই উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী করেছিলেন।
সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেই এই দফতর থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন। কারণ তাঁর সঙ্গে শিল্পপতি, উদ্যোগপতিদের সম্পর্ক ভাল। রাজ্যে এখন প্রয়োজন শিল্পের। বিজেপি বারবার অভিযোগ করেছে, রাজ্যে শিল্প নেই। বেকার যুবক–যুবতীদের চাকরি নেই। এইসব অভিযোগের জবাব দিতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিক্ষা দফতর থেকে সরিয়ে শিল্প–বানিজ্য দফতরে নিয়ে আসা হল। এই দফতরের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিও পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। তাই সেটাও তাঁকে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীও করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। কারণ তিনি মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ছিলেন। ফলে তাঁর একটা অভিজ্ঞতা রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী থাকলে এক জায়গায় আটকে যাচ্ছিলেন তিনি। যেহেতু কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তাই কর্পোরেটদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে বহুদিন ধরে। সেটাই এবার কাজে লাগানো হবে।
আর ব্রাত্য বসু বরাবরই নাট্য জগতের মানুষ। তাছাড়া অগাধ পড়াশোনা রয়েছে তাঁর। রাজ্যের শিক্ষাকে কোন পথে চালিত করলে ছাত্রছাত্রীদের উপকার হবে সেটা তিনি জানেন। তাছাড়া শিক্ষা দফতরে অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে। যা একা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে সামলানো কঠিন ছিল। তাই সেখানে ব্রাত্য বসুকে নিয়ে এসে সমাধানের রাস্তা তৈরি করতে চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়াশোনা জগতের মানুষ ব্রাত্য বসু সংস্কৃতিটাও ভাল বোঝেন। সেখানে স্কুলশিক্ষা, উচ্চশিক্ষা দিয়ে শিক্ষাবিদদের কাছে বার্তাও দেওয়া হল। শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আন্দোলন হয়েছে এই রাজ্যে। যা পার্থ চট্টোপাধ্যায় সামাল দিতে ততটা পারেননি। তখন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে হয়েছে। সেখানে ব্রাত্য বসু বিষয়টি এককভাবে সামলাতে পারবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।