মন্ত্রিত্ব থেকে দলীয় পদ—বাদ গিয়েছে আগেই। এমনকী হারিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রীর পদও। আজ, মঙ্গলবার বিধানসভার কমিটি থেকেও বাদ পড়লেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পরিষদীয় দলের বৈঠক ছিল বিধানসভায় বলে খবর। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কারণ হিসেবে এই বৈঠকে উল্লেখ করা হয়েছে, পার্থ এখন জেলে রয়েছেন। কবে ছাড়া পাবেন বলা যাচ্ছে না। তাই এখন তাঁকে কমিটিতে রেখে দেওয়া অর্থহীন। এই প্রেক্ষাপটে সমস্ত কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? বিধানসভা সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি কমিটিতে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে এখন সিদ্ধান্ত নিতে গেলে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার পর থেকেই বিধানসভার কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাই সবদিক বিচার করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সমস্ত কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।
কোন কোন কমিটিতে ছিলেন পার্থ? বিধানসভা সূত্রে খবর, বিধানসভায় যাঁরা নির্বাচিত বিধায়ক তাঁরা ন্যূনতম দুটি করে কমিটিতে থাকাটাই নিয়ম। এই নিয়ম অনুযায়ী, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভার কমিটি এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া আরও কয়েকটি কমিটিতে ছিলেন। এইসব কমিটি থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হল। এই কমিটিতে থাকার ফলে ভাতা পান তাঁরা। মন্ত্রিত্ব না থাকলেও বিধায়ক হিসেবে ওই কমিটিতে পার্থের থাকাটা আইনসম্মত। কিন্তু আজ পরিষদীয় দলের বৈঠকে তাঁকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
ফিরে এলে কী কমিটিতে ঠাঁই পাবেন? এই বিষয়ে সরাসরি কোনও উত্তর দেননি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সূত্রের খবর, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেল থেকে ছাড়া পেলেও বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখা হবে। প্রয়োজনে অন্য কমিটিতে যুক্ত করা হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে কোনও কমিটিতেই তাঁকে রাখা হবে না।