জামিন পাওয়া দূর অস্ত। যা তথ্যপ্রমাণ আছে, তাতে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাড়ে তিন বছর জেল হেফাজতে রাখা যায়। এমনই দাবি করলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আইনজীবীরা।
বুধবার আদালতে পার্থের আইনজীবীরা দাবি করেন, যে কোনও শর্তে জামিনে রাজি আছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। প্রয়োজনে জামিন দিয়ে তাঁকে বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর নজরদারিতেই রাখারও আর্জি জানানো হয়। যদিও পার্থের জামিনের বিরোধিতা করেন কেন্দ্রীয় সংস্থার ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এবং ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইডির আইনজীবীরা দাবি করেন, এসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্তে একাধিক ভুয়ো সংস্থা ধরা পড়েছে। ওই সংস্থাগুলির নামে প্রচুর সম্পত্তি কেনা হয়েছিল (একাংশের দাবি, একটি সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম আছে)। ‘সিমবায়োসিস’ নামে একটি সংস্থারও হদিশ মিলেছে। যে সংস্থার মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। তাছাড়াও ১০০ টি অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হদিশ মিলেছে আরও ২৫ টি নয়া অ্যাকাউন্টের। ওইসব অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে কোটি-কোটি টাকা নয়ছয় করা হয়েছে বলে ধারণা ইডির।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee and Arpita Mukherjee: বিমার নথিতে অর্পিতার Uncle হলেন পার্থ, জামিন মিলল না ‘কাকা’র
কেন্দ্রীয় সংস্থার সওয়ালের প্রেক্ষিতে পার্থের আইনজীবীরা দাবি করেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ি থেকে কোনও টাকা উদ্ধার করা হয়নি। পার্থের নামেও কোনও সম্পত্তি উদ্ধার করতে পারেনি ইডি। সেইসঙ্গে ইডির প্রভাবশালী তত্ত্ব খারিজ করতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবীরা দাবি করেন, পার্থের হাতে আপাতত কোনও মন্ত্রিত্ব নেই। তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও পদেও নেই। তাই শারীরিক অবস্থার বিবেচনা করে পার্থের জামিন মঞ্জুরের আর্জি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: সব চাকরিতে টাকা নেয় না কেউ, এসব বাজে কথা, কিছু কিছু বাজে লোক আছে…
পার্থের আইনজীবীদের যুক্তিতে অবশ্য জামিন মঞ্জুর করেনি আদালত। বরং রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। অর্থাৎ আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংশোধনাগারেই থাকতে হবে পার্থকে। যিনি আদালতে দাবি করেন, ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দিতে হওয়ায় তাঁর মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। একই দাবি করেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। তাঁকেও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।