কয়েকদিন আগে নাম না করে বৈশালী ডালমিয়াকে উদ্দেশ্য করে একাধিক পোস্টার নজরে পড়েছিল বালিতে। বহিরাগত বলে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতাদের আক্রমণ শানাচ্ছে তৃণমূল। দলের নেত্রীও গতকাল বলেছেন, ‘যাঁরা দাঙ্গা–হাঙ্গামা করতে বাংলায় আসছেন, তারাই বহিরাগত।’ সেই তৃণমূলের বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার বুধবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘প্রধানমন্ত্রীকেই বহিরাগত বলা হচ্ছে, আমি কোন ছাড়।’ এখানেই প্রশ্ন, তবে কী দলের নেতা–কর্মীদের আচরণ না–পসন্দ বিধায়কের?
ঘটনাটি ঠিক কী? বৈশালী ডালমিয়ার বিরুদ্ধে বালির একাধিক জায়গায় সাঁটা হয়েছে পোস্টার। তৃণমূল সক্রিয় কর্মীবৃন্দের নামে ওই পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘বহিরাগত নয়, বালির মানুষকে দলের প্রার্থী হিসেবে চাই।’ একুশের লড়াইয়ে বালি থেকে কোনও বহিরাগতদের প্রার্থী না করার আর্জি জানানো হয়। যদিও তাতে কারও নাম ছিল না। তবে বাংলা, হিন্দি, উর্দু ভাষায় লেখা একাধিক পোস্টার বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে উদ্দেশ্য করেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ কলকাতাবাসী বিধায়কের কাজে খুশি নন দলের স্থানীয় কর্মী, সমর্থকরা।
বৈশালী ডালমিয়া দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। এবার ভিডিও–বার্তায় বালির বিধায়ক বলেন, ‘এরা হামেশাই বলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বহিরাগত। বাইরে থেকে কেউ আসলে বহিরাগত বলা হচ্ছে। ভারত একটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিবারের প্রধান। তাঁকেই বহিরাগত বলা হচ্ছে, আমি তো সেখানে তুচ্ছ।’ এই মন্তব্যের পরই তৃণমূলের অন্দরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
এই জল্পনার কারণ হল, মিহির গোস্বামীর দলবদল, শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগে উত্তপ্ত রাজ্য–রাজনীতি। তার মধ্যে তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত তকমা দিয়ে চলেছে। তার পাল্টা বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, প্রধানমন্ত্রী–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি বহিরাগত? সেই একই কথা শোনা গেল তৃণমূল বিধায়কের মুখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ‘এরা’ বলতে কাদের বোঝালেন বৈশালী? নিজের দলকেই?