নিজের দাদার যৌন লালসার শিকার হল নাবালিকা বোন। শুধু অভিযুক্ত দাদাই তাকে যৌন নির্যাতন করেনি, দাদার এক বন্ধুও যৌন হেনস্থা করেছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে খাস কলকাতার বেহালার সরশুনায়। এই ঘটনাই ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার অভিযুক্ত দাদা এবং তার বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও একজনকে আটক করা হয়েছে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকবার দাদা যৌন লালসার শিকার হয়েছে ওই নাবালিকা। তবে লজ্জা এবং ভয়ে এবিষয়ে কাউকে বলতে পারেনি নির্যাতিতা। অবশেষে এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় নাবালিকা। তার অভিযোগ, বাড়িতেই তার দাদা তাকে যৌন হেনস্থা করেছে। এছাড়া তার দাদার এক বন্ধুও পরবর্তীতে বাড়িতে এসে তাকে যৌন নিগ্রহ করেছে। এই ঘটনায় নাবালিকার ধৃত। দাদার বয়স ২৮ বছর। অন্যদিকে, তার বন্ধু জিৎ কুণ্ডুকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতের বয়স ১৯ বছর। তার বাড়ি ওই থানা এলাকার জাভেদ ঘোষ রোডে। দীর্ঘদিন চুপ থাকার পর অবশেষে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিষয়টি জানায় নাবালিকা। পরে সে থানায় অভিযোগ জানায়। তার ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবাবের অন্যান্য সদস্যরা। গুণধর দাদার এমন কীর্তিতে তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছে প্রতিবেশীরা। এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে সরশুনা থানার পুলিশ। যদিও কলকাতার বুকে এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন সময়ে। বছর তিনেক আগে আনন্দপুরে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। এক্ষেত্রে মাসের পর মাস বোনকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল দাদার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় অভিযোগ করার পর নির্যাতিতার দাদাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শুধু তাই নয়, গত ডিসেম্বরে দুই নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল নিজের বাবার বিরুদ্ধে। সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত একজন পুলিশ কর্মী। সেই ঘটনায় পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।