আলুর দাম এখনও বেশ চড়া। যা কিনতে গিয়ে পকেটে চাপ পড়ছে মধ্যবিত্তের। এখন যে আলু মিলছে, তার বেশিরভাগই মাঠ থেকে সরাসরি বাজারে আসছে। হিমঘর এখনও খোলেনি। হিমঘরের আলু বাজারে এলে স্বাভাবিক নিয়মেই দাম আরও বাড়বে। হিমঘরের ভাড়া যুক্ত হয়ে যাবে আলুর সঙ্গে। এখন এক কেজি আলু ৩০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আর হিমঘরের আলু ঢুকলে তার দাম ৫০ টাকা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। চন্দ্রমুখী আলুর দাম এখনই ৪৫ টাকা।
কেন বাড়বে আলুর দাম? এই বিষয়ে হিমঘর মালিক সংগঠনের কর্তা পতিতপাবন দে জানান, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বেশিরভাগ হিমঘর খুলে যাবে। বাজারে ঢুকবে মজুত রাখা আলু। তখন দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বলা যাচ্ছে না। যদিও রাজ্য সরকারের বাজার বিভাগের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে বলেন, ‘কলকাতার পাইকারি বাজারে আলুর দাম হঠাৎই অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। জ্যোতি আলু ৩০ টাকা এবং চন্দ্রমুখী আলু ৪৫ টাকায় বিকোচ্ছে।
আলু ব্যবসায়ীদের দাবি কী? ব্যবসায়ীদের সূত্রে খবর, হিমঘরে আলু মজুত করতে কেজিতে ১৮ টাকা মতো খরচ হয়েছে। হিমঘরের ভাড়া–সহ অন্যান্য খাতে খরচ হবে আরও ৬–৭ টাকা। হিমঘরের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ১০ মে ব্যবসা বন্ধের ডাক দিয়েছে। এবার দক্ষিণবঙ্গে আলুর ফলন মার খেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পেঁয়াজ তুলনায় অনেক সস্তা। পেঁয়াজ খুচরো বাজারে কেজিতে ২০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে এর দাম ১১ টাকার কম। বাংলায় এবার পেঁয়াজের ফলন খুব ভালো হয়েছে। মোট উৎপাদন প্রায় ৬ লক্ষ টন। আগামী জুন পর্যন্ত বাংলার পেঁয়াজের জোগান বাজারে ভালোই থাকবে বলে জানা গিয়েছে।