সর্বক্ষণের সহায়ক চেয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিল প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ। SSKMএর ৩ চিকিৎসককে দিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর পর পার্থর আবেদন খারিজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে জেলের ভিতর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে নিজেই নড়েচড়ে খেতে হবে।
গত বছর গ্রেফতারির পর প্রায় ১ বছর ৩ মাস জেলবন্দি রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শারীরিক অসুস্থতার জন্য জেলে তাঁর চলাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়ে জেল সুপারের কাছে সর্বক্ষণের সহায়ক দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। জেলে অসুস্থ বা অশীতিপর বৃদ্ধদের সহায়ক দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। আচরণ ভালো, এই ধরণের বন্দিদের এই কাজে নিয়োগ করা হয়। এতে তাদের কায়িক শ্রমও কম হয়, আর অসুস্থ বা বৃদ্ধ মানুষটিও সেবা পায়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সত্যিই তাঁর সহায়ক প্রয়োজন কি না জানতে SSKM হাসপাতালের সাহায্য নেয় জেল কর্তৃপক্ষ। SSKMএর ৩ চিকিৎসক গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্সি জেলে এসে পার্থকে পরীক্ষা করেন। এর পর তাঁরা জানান, পার্থর হাঁটুর ব্যাথাসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধানে ব্যয়াম করা দরকার। আর শুধুমাত্র ব্যয়াম করার সময়ই তাঁকে সহায়ক দেওয়া যেতে পারে। চিকিৎসকদের এই পরামর্শ মেনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সহায়কের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।
বলে রাখি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। নিয়ম ভেঙে জেলের ভিতর পার্থকে আংটি পরার অনুমতি দিয়েছিলেন তিনি। সেজন্য তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশে দায়ের হয়েছে FIR. পুলিশকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যার ফলে মহা চাপে আছেন দেবাশিসবাবু।