মণিপুরের বর্বরোচিত ঘটনা নিয়ে সংসদে মুখ খুলছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে সূত্রের খবর, আগামী ১০ অগস্ট তিনি মুখ খুলবেন। সংসদে এখন আসছেন না। সেদিন আসবেন। তাই ইন্ডিয়া জোট রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আবহে দ্বিতীয়বার বঙ্গ–সফরে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সুতরাং মণিপুর ইস্যু বাংলা থেকেই তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। অগস্ট মাসেই তাঁর এই কলকাতায় পা রাখার পিছনে রয়েছে একটি সরকারি অনুষ্ঠান।
কবে আসছেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু? তবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু একদিনের সফরে বাংলায় আসছেন বলে সূত্রের খবর। আগামী ১৭ অগস্ট রাষ্ট্রপতি বাংলায় পা রাখবেন। এক বিশেষ সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসার কথা রাষ্ট্রপতির। এখনও পর্যন্ত এমনই সফরসূচি ঠিক রয়েছে। পরে তা পাল্টে যাবে বলে মনে হয় না। যদি না কোনও বড় কিছু ঘটে যায়। চলতি বছরের মার্চ মাসে কলকাতায় এসেছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ওটাই ছিল তাঁর প্রথম বঙ্গ–সফর। এবার দ্বিতীয়বার বাংলা সফরে আসছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে সরকারি তরফে।
কেন বাংলায় আসছেন রাষ্ট্রপতি? রাষ্ট্রপতি কলকাতায় এসে গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সূত্রের খবর, আগামী ১৭ অগস্ট সকাল সাড়ে ১১ টায় কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন রাষ্ট্রপতি। সেখান থেকে সরাসরি তিনি চলে যাবেন গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডে। সেখানের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর জিআরএসই’র অনুষ্ঠানেও যাবেন তিনি। তারপর দুপুর ১টা ৪০ থেকে ৩টে ১০ মিনিট পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠানে থাকবেন দ্রৌপদী মর্মু। তার পর সেখান থেকে আবার নয়াদিল্লি চলে যাবেন তিনি।
আরও পড়ুন: লোকো পাইলট এবং সহকারী লোকো পাইলট সাসপেন্ড, কী ঘটল জম্মু–তাওয়াই এক্সপ্রেসে?
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কি দেখা হবে? রাষ্ট্রপতির সূচি অনুযায়ী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দ্রৌপদী মুর্মুর দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে এই সূচির মধ্যে যদি পরিবর্তন আসে আহলেই একমাত্র দু’জনের দেখা হতে পারে। চলতি বছরের মার্চ মাসে পশ্চিমবঙ্গে দু’দিনের সফরে যখন এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি তখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। এমনকী নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে তিনি খুব আনন্দ পেয়েছিলেন। কলকাতা, বেলুড় মঠ এবং শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন। তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই একদিনের সফরে দেখা না হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।