আজ, বুধবার জেলরক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে আরজি কর হাসপাতাল থেকে পালাল বিচারাধীন বন্দি। এই ঘটনা নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ এই বিচারাধীন বন্দিকে পাহারা দেওয়ার জন্য দুই জেলরক্ষীকে সেখানে মোতায়েন করা ছিল। কিন্তু তাঁদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে এই বিচারাধীন আসামী। এটা কেমন করে সম্ভব হল? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এখন পুলিশ এখানে এসে তদন্ত শুরু করেছে। আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ সকালে হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ওই বিচারাধীন বন্দি। গত শনিবার মহম্মদ সাজিদ নামে ওই বিচারাধীন বন্দিকে ভর্তি করা হয়েছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আর তার নজরদারির দায়িত্বে রাখা হয় দুই জেলরক্ষীকে। দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দি ছিল মহম্মদ সাজিদ। ইকো পার্ক থানার মামলায় অভিযুক্ত ছিল সে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকী কর্তব্যে গাফিলতি ছিল বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। তবে জোর তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে কয়েকদিন আগে এসএসকেএম হাসপাতালের কার্জন ওয়ার্ড থেকে পালায় পকসো মামলায় বিচারাধীন বন্দি। পাথরপ্রতিমা থানার একটি মামলায় বারুইপুর জেলে বন্দি ছিল সূর্যকান্ত মণ্ডল। তাকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুযোগ বুঝে এখান থেকে চম্পট দেয় ওই বন্দি। এবার একই ঘটনা ঘটল আরজি কর হাসপাতালে। এখানে থেকে পালাবার রাস্তা খুঁজে বের করে ওই বন্দি। তার পর জেলরক্ষীরা একটু অসতর্ক হতেই এখান থেকে সে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ইডি দফতরে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন জানালেন শশী
আর কী জানা যাচ্ছে? ওই বন্দি এখানের বাথরুম থেকে শুরু করে সিঁড়ি–সহ নানা জায়গা আগে খতিয়ে দেখেছে। তারপর পরিকল্পনা করে সে পালিয়েছে। এই ঘটনার পর পুলিশ হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। সেখান থেকে অনেক তথ্য পেয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই তল্লাশি শুরু হয়েছে। হাসপাতাল ও আশেপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। কীভাবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিচারাধীন বন্দি পালিয়ে গেল? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।