দুর্গাপুজোর পাঁচদিনে দেদার বিক্রি হয়েছে মদ। আর তার জেরে ওই পাঁচদিনে ৬০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে আবগারি দফতরের। তবে টাকা দিয়ে মদ কিনলেও অনেক সময়ই সেটা বোঝা যাচ্ছে না—আসল না নকল! নকল মদ বাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগও উঠেছে। এবার নকল মদের বিক্রি ঠেকাতে অভিনব পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্যের আবগারি দফতর। এবার মদের বোতলের গায়ে লাগানো লেবেলেই থাকবে একটি করে বিশেষ ‘কিউআর কোড’। আর সেটি স্ক্যান করলেই ক্রেতা বুঝতে পারবেন, মদটা আসল না নকল। এই উৎসবের মরশুমে রাজ্যের নানা জায়গা থেকে নকল মদ বিক্রি হয়েছিল বলে অভিযোগ আসে রাজ্যের আবগারি দফতরের কাছে। সেসবের তদন্ত নেমে নকল মদ বিক্রির সত্যতা মেলে। আবগারি দফতর এবার নকল মদ বিক্রি ঠেকাতে বিশেষ পদক্ষেপ করল।
কেমন হবে ঠিক বিষয়টি? এই নকল মদ বিক্রি করার জন্য কয়েকজনকে পাকড়াও করেছিল আবগারি দফতর। সেখান থেকেই গোটা বিষয়টি সামনে আসে বলে সূত্রের খবর। মদের বোতলের লেবেলে ‘কিউআর কোড’ আগে থেকেই ছিল। এবার দামি মদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নিল আবগারি দফতর। তবে এই বিশেষ ‘কিউআর কোড’–কে বলা হচ্ছে ওয়ান টাইম কিউআর কোড। কারণ এই কোড পেতে বোতলের লেবেলের উপরে স্ক্র্যাচ করতে হবে সুরাপ্রেমীদের। তখন ‘কিউআর কোড’ বেরিয়ে এলে মোবাইলের স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করলেই সব সামনে চলে আসবে। মনে রাখতে হবে স্ক্যান কিন্তু একবারই করা যাবে।
কেন এমন জরুরি পদক্ষেপ? আবগারি দফতর সূত্রের খবর, এবার দুর্গাপুজোর ৫ দিনে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। সপ্তমী এবং নবমীর দিন সবচেয়ে বেশি মদ বিক্রি হয়েছে। সব থেকে বেশি আয়ও করেছে রাজ্য সরকার। সেখানে সামনে কালীপুজো। দীপাবলি, ধনতেরাস রয়েছে। ওই দিনগুলিতে বিক্রি বাড়তে পারে মদের। কিন্তু সেখানে যাতে কোনওভাবেই নকল মদ প্রবেশ করতে না পারে তাই এমন কড়াকড়ি। এই উদ্যোগ নেওয়ার ফলে নকল মদ ব্যাপকভাবে ধরা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নকল মদ ধরতেই জরুরি ভিত্তিতে কিউআর কোড বসানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ভালো লোক’, এবার পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সুর চড়ালেন অর্জুন
আর কী জানা যাচ্ছে? গত সাত মাসে আবগারি দফতরের মদ বিক্রি থেকেই আয় হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। নকল মদ বিক্রি ঠেকাতে কিউআর কোড তো হচ্ছেই। এছাড়া বাড়তি সতর্কতা হিসাবে হলোগ্রাম স্টিকার দিয়ে মদের বোতল সিল করা থাকে। সেই স্টিকারের মাপ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কালীপুজো ও দীপাবলির আগে নকল মদ বিক্রি ঠেকাতে এটাই বড় পদক্ষেপ আবগারি দফতরের। সচেতনতামূলক প্রচারও করা হবে। এমনকী পোস্টার, ব্যানার দিয়ে গ্রাহকদের সচেতন করা হবে নকল ও আসল মদ সম্পর্কে।