নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিশেষ বেঞ্চের। বিচারপতিদের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, আন্দোনকারীরা ছুরির যে প্রান্তে রয়েছেন তার ধার অনেক বেশি। সেই সঙ্গেই যাঁরা রাস্তায় বসে রয়েছেন, যাঁদের চাকরি নেই তাঁদের কথাও ভেবে দেখার পরামর্শ দিল বিচারপতিদের বেঞ্চ। বিপক্ষের আইনজীবীদের কাছে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি স্পষ্টতই জানিয়েছেন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেই নিয়োগপত্র পাওয়ার অধিকার জন্মায় না। কিন্তু যে সিদ্ধান্তই বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলি নিক না কেন সেটা স্বচ্ছভাবে আইন মেনে হতে হবে।
আসলে এগোলেও কাটে আর পিছোলেও কাটে।যার দুদিকেই ধার, এমন একটা ছুরি হলে যে প্রান্তে রয়েছেন আন্দোলনাকারীরা, তাদের ধার অনেকটাই বেশি। এমনটাই কার্যত বোঝানো হয়েছে।
আসলে গ্রুড ডি পদে নিয়োগ সংক্রান্ত একটা মামলার শুনানি চলছিল। সেখানে চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী উৎকর্ষ কৌশিক ও মুকুল লাহিড়ি জানান, গ্রুপ ডির কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব সহকারে কাজ করে আসছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোথাও কোনও অভিযোগ নেই। সিবিআই তদন্তের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। সেই সঙ্গেই তাদের দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশে এই তদন্ত করা হচ্ছে। এমনকী একেবারে নীচের তলায় থাকা মামলাকারীরা শেষ পর্যন্ত কতদিন মামলা চালিয়ে যেতে পারবেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
আর আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে বিচারপতি আইনজীবীর বক্তব্য শুনে পালটা বলেন, গ্রুপ ডির কর্মীরা তো তবু চাকরি করছেন। বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু যারা রাস্তায় বসে রয়েছেন, তাঁদের কথাও ভাবা দরকার।
বাস্তবিকই রোদ, জল, ঝড় দিনের পর দিন ধরে রাস্তায় বসে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। দিনের পর দিন ধরে আন্দোলন। একাধিকবার তাঁরা সরকারপক্ষের সঙ্গে দেখা করেছেন। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কতটা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
এদিকে বিচারপতি দেবাংশু বসাক চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীদের কাছে প্রশ্ন করেন, এসএসসি সুপারিশ করলেই কি রাজ্য নিয়োগপত্র দিতে বাধ্য়? এর জবাবে চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র জানান, না তা বাধ্যতামূলক নয়। তবে সাধারণত তাই হয়ে থাকে। আর যদি নিয়োগ না করা হয় তবে তার কারণ জানিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। তবে বিচারপতি স্পষ্টতই জানিয়েছেন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেই নিয়োগপত্র পাওয়ার অধিকার জন্মায় না। কিন্তু যে সিদ্ধান্তই বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলি নিক না কেন সেটা স্বচ্ছভাবে আইন মেনে হতে হবে।