দুর্গাপুজোয় এবার ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা কলকাতায় আসার কথা ছিল। ১১ অক্টোবর ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা দুর্গাপুজো পরিদর্শন করবেন বলে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু, সেইমতো এবার ইউনেস্কোর কোনও প্রতিনিধিকে দেখা গেল না। ফলে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতি ছাড়াই বুধবার কলকাতায় প্রাক পুজো প্রদর্শনীর সূচনা হল। টাউন হলে এই প্রদর্শনীর সূচনা হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতেরা। তাঁদের একাধিক মণ্ডপ পরিদর্শন করানো হয়।
আরও পড়ুন: সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীতে সকালে কখন থেকে মেট্রো চলবে? রাতে কতক্ষণ পাবেন?
এদিন টাউন হলে নেপাল, মঙ্গোলিয়া, সাইপ্রাস, ফিজির রাষ্ট্রদূতেরা উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে রাষ্ট্রদূতদের চারটি ফলে ভাগ করে বিভিন্ন মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন করানো হয়। মণ্ডপ পরিদর্শন করার পর অভিভূত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতেরা। এ বিষয়ে নেপালের রাষ্ট্রদূত শঙ্করপ্রসাদ শর্মা জানান, নেপালে নবদূর্গা পালন করা হয়। এর জন্য সেখানকার মানুষ ভগবতী মন্দিরে যান। সেখানে এই ধরনের মণ্ডপ তৈরি করা হয় না। এখন নেপাল বাংলার মানুষের কাছ থেকে মণ্ডপ তৈরি করা শিখছে। সাইপ্রাসের রাষ্ট্রদূতের কথায়, এখানকার মানুষের কাজ অতুলনীয়। এদিন টাউন হলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এছাড়াও ছিলেন, রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, পুরসভার মেয়র পারিষদ তথা বিষয়ক দেবাশিস কুমার, লেখক তপতী গুহঠাকুরতা প্রমুখ। বেশ কয়েকটি দলে ভাগ করে রাষ্ট্রদূতদের বাছাই করা মণ্ডপে নিয়ে গিয়ে পুজো দেখানো হয়।
জানা গিয়েছে, এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ৪ দিন। এছাড়া সন্ধে ৬টা থেকে ভোর পর্যন্ত বাছাই করা কিছু মণ্ডপ পরিদর্শন চলবে। প্রসঙ্গত, ২০ বছর আগে বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক পরম্পরা রক্ষায় ইউনেস্কো উদ্যোগী হয়েছিল। ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতবারের মতো এবারও ইনেস্কোর প্রতিনিধিরা কলকাতায় আসার কথা ছিল। যদিও এবার কেন তাঁরা এলেন না সে বিষয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে স্পষ্ট কিছু উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে একটি পুজো উদ্যোক্তার বক্তব্য, ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা না আসলেও তাঁরা শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এর আগে ভারতে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ছিলেন এরিক ফিল্ড। তিনি ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন। তবে এখন তিনি আর সেই পদে নেই।
এদিন ভারতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর অ্যালিসন ব্যারেট দুর্গাপুজোয় আর্থিক আয় নিয়ে প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাংলার মোট জিডিপির ৩ শতাংশ দুর্গাপুজো থেকে আসে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, টোম্যাটিনার মতো উৎসব ছেড়ে বিদেশের বহু মানুষ এখন দুর্গাপুজো দেখতে আসছেন।