ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল হিন্দু হস্টেলে। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্টস অরুণ মাইতি এবং ডেভলপমেন্ট অফিসার কৌশল নন্দীকে ২৮ ঘণ্টা ধরে ঘেরাও করে রাখা হল। শেষ পর্যন্ত রাত ৮ টার পর ঘেরাও তুলে নেন আবাসিকরা। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং আধিকারিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: ভাতের হাঁড়িতে বিপুল পরিমাণ ফ্যানা, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে তুলকালাম কাণ্ড
জানা গিয়েছে, মূলত হিন্দু হস্টেলে স্থায়ী।মেস চালু এবং হস্টেলের ৩, ৪ এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ড দ্রুত সারিয়ে সেগুলি খুলে দেওয়ার দাবি জানান আবাসিকরা। এই দাবিতে আবাসিকরা ২৮ ঘণ্টা তাদের ঘেরাও করে রাখেন। অভিযোগ, এই দীর্ঘ সময় তাদের শোয়ার কোনও সুযোগই সুযোগ দেওয়া হয়নি, শুধু তাই নয় শৌচালয়ে গেলেও তাদের পিছনে চলে যান আবাসিকরা। এরপর মেসের ব্যাপারে আশ্বাস দিলে শুক্রবার রাত ৮ টার সময় তারা ঘেরাও উঠিয়ে নেয় ।
প্রসঙ্গত, মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের মার্চ মাসে হিন্দু হস্টেল চালু করা হয়েছিল। কিন্তু, চালু হলেও মেসের ব্যবস্থা করা হয়নি। যার ফলে খাওয়া দাওয়ার সমস্যা হচ্ছিল আবাসিকদের। এ নিয়ে বারবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত আবাসিকরা নিজেদের উদ্যোগ্যে হিন্দু হস্টেলে মেস চালু করেছিলেন। কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কারণ এর আগে কর্তৃপক্ষ মাসে ১৭ হাজার টাকা ভর্তুকি দিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু, আবাসিকদের বক্তব্য, এই টাকা যথেষ্ট নয়।
আবাসিকরা জানান, মাসে ১৭ হাজার টাকার ভর্তুকিতে মেস চালানো সম্ভব নয়। এই অবস্থায় আবাসিকের দাবি হিন্দু হস্টেলে মেস চালানোর জন্য প্রতিমাসে ৬০ হাজার টাকা করে দিতে হবে এবং স্থায়ী মেসের ব্যবস্থা করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে দাবি না মেটানোয় শেষ পর্যন্ত ডিন অব স্টুডেন্টস এবং ডেভলপমেন্ট অফিসারকে ঘেরাও করা হয়। যদিও ২ জনকে রাতে বসিয়ে রাখার কথা অস্বীকার করেছে আবাসিকরা। তবে তাদের সঙ্গে শৌচালয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।