রাজ্য পুলিশের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন হবে বলেই কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, তারপরেও শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ছাপ্পা ভোট থেকে শুরু করে ভুয়ো ভোটার প্রভৃতি অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। সবক্ষেত্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। মেটিয়াবুরুজেও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
কংগ্রেস এবং নির্দল প্রার্থীদের অভিযোগ, ১৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৬টি বুথে দরজা বন্ধ করে ছাপ্পা ভোট দিয়েছে তৃণমূল। ওই সমস্ত বুথ থেকে অন্যান্য দলের এজেন্টের বাইরে বের করে দিয়ে ছাপ্পা ভোট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।অন্যান্য দলের প্রার্থীদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে নির্দল এবং কংগ্রেস প্রার্থীদের। এই ঘটনায় তারা পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার ১৩৭ নম্বর ওয়ার্ডটি গার্ডেন রিচ এবং মেটিয়াবুরুজের কিছু অংশ জুড়ে অবস্থিত। এই ওয়ার্ডটি সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ২০০৫ সাল থেকে দশ বছর এই ওয়ার্ডটি নিজেদের দখলে রেখেছিল সিপিএম। ২০১০ সালে এই ওয়ার্ড থেকে জয়ী হন সিপিএম প্রার্থী আমিন আনসারি। যদিও ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে তিনি সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন এবং তৃণমূল কাউন্সিলর হন।
এদিন বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করার পাশাপাশি উঠে এসেছে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে ঝামেলার ঘটনা। বোমাবাজির অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেলেঘাটার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে। তালতলার ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে পুলিশের সামনে তৃণমূল-কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এছাড়াও বাগবাজারের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী ব্রজেশ ঝা। এ সমস্ত ক্ষেত্রে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।