এ যেন ফিরে দেখা। সিবিআই যখন তাঁর বাড়িতে আসছে বলে খবর চাউর হয়েছিল তখন পাশে দাঁড়িয়ে তিনি ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে বাড়ির বাইরে চলে এসেছিলেন। তারপর সিবিআই চলে যেতে ছোট্ট মে্যেটিকে ফিরিয়ে দেন তিনি। কচি মনে যেন কোনও প্রভাব না পড়ে, তাই এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। আর আজ তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দেখতে গেলেন ছোট্ট মেয়েটির মা। হ্যাঁ, তাঁরা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁকেই দেখতে এসেছিলেন অভিষেক–জায়া। পিসিশাশুড়ির সঙ্গে কথা বললেন কিছুক্ষণ। তারপর বেরিয়ে গেলেন। ক্যামেরার ফ্ল্যাশলাইট তখন ছিল তাঁর দিকেই।
বুধবার নন্দীগ্রামে আঘাতের শিকার হন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখান থেকে আনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। আর আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন অভিষেক। তার পর পায়ে প্লাস্টার অবস্থায় মমতার ছবিও তিনিই প্রথম সামনে আনেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর একে একে দলের নেতা–কর্মীরা দেখা করে যান। বাংলার রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠছে বুঝতে পেরেই হাসপাতাল থেকে শুয়ে শান্ত থাকার বার্তা দেন তিনি। তাতে কাজ হয়েছে। আগামী ১৪ মার্চ দলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করবেন তিনি। তাই চিকিৎসকদের বলেছেন তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে। কিন্তু এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। এই অবস্থাতেই বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে চান তিনি। রুজিরা গিয়ে সেই সাহস জুগিয়ে এসেছেন বলে সূত্রের খবর।
এদিকে নীলবাড়ির লড়াইয়ে শুরু থেকেই বিজেপির নিশানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও লাগাতার প্রচারে ব্যস্ত। কিন্তু তার মধ্যেও পিসি–কে দেখতে এবং খোঁজখবর নিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। বিরোধীদের অভিযোগ, ‘ভাইপো’কেই নেত্রী বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু দেখা গেল, ভাইপোও এখন একা সবটা সামলাতে প্রস্তুত। তাই তো একদিকে যেমন ছুটে যাচ্ছেন তিনি মানুষের কাছে। অন্যদিকে হাসপাতালে বারবার আসছেন খোঁজ নিতে। যা সবার চোখে পড়েছে। দিন–রাত এক করে পড়ে রযেছেন হাসপাতালে। আর তার সঙ্গে যোগ্য সঙ্গ দিলেন রুজিরাও।
উল্লেখ্য, রুজিরার বাড়ি ‘শান্তিনিকেতন’–এ সিবিআই পৌঁছনোর আগেই নবান্ন যাওয়ার পথে সেখানে হাজির হয়েছিলেন মমতা। আর আজ হাসপাতালে ছুটে গেলেন রুজিরা। ভোলেননি সেদিনের কথা। তাই তো গিয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে হবে। বাংলার মানুষ তোমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা সবাই আছি তোমার পাশে। জয় হবেই। হাসপাতাল সূত্রে এই খবর মিলেছে।