সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ঘটনার ৪ দিন পর নবান্নের কাছে রিপোর্ট চাইল শাহের মন্ত্রক। মঙ্গলবারই কলকাতায় একাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর রাহুল নবীন। সেই বৈঠকের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট তলবের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় তৃণমূল গুন্ডা শেখ শাহজাহানের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে ইডি আধিকারিক ও সংবাদমাধ্যমের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার পর রাজ্যে ফের রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি উঠেছে। সেই পরিস্থিতিতে সোমবার কলকাতায় আসেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর রাহুল নবীন। CRPF, CISF, BSF, SSB-র আধিকারিকদের সঙ্গে বিধাননগরের CGO কমপ্লেক্সে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে IB ও NIA-র আধিকারিরাও ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। সেই বৈঠকে সীমান্ত এলাকায় তল্লাশির সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী কী ভাবে ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সঙ্গে তল্লাশিতে যাওয়ার আগে বিএসএফকে সীমান্ত সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া NIA – IB-র মতো সংস্থার কাছ থেকে গোয়েন্দাতথ্য নিয়ে তল্লাশিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিনের বৈঠক শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নবান্নের কাছে ওই ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সূত্রের খবর, সন্দেশখালি ও বনগাঁর ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন ইডির ডিরেক্টর। সূত্রের দাবি, সন্দেশখালির ঘটনায় ইডির অভিযোগপত্র মেনে দুষ্কৃতীদের উপযুক্ত ধারা দেওয়া হয়নি। উলটে ন্যাজাট থানার পুলিশ হামলাকারীদের যে FIR গ্রহণ করেছে সেটা অনুসারে ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছে।
ইডির তরফে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, শুক্রবার রাতে বনগাঁয় শংকর আঢ্যর বাড়িতে তল্লাশির সময় বাইরে ভিড় দেখে স্থানীয় থানাকে জানান ইডির আধিকারিকরা। শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীদের একাংশ। কিন্তু তখনও রাজ্য পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সন্দেশখালির ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা অভিযুক্ত শাহজাহান শেখ। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বলছেন শাহজাহান এলাকাতেই রয়েছেন। যদিও ঘটনার ৪ দিন পরেও তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। রাজ্যের ডিজি হুঁশিয়ারি দিলেও আত্মসমর্পণ করেননি শাহজাহান।