অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। সরস্বতী পুজোর পরের দিন এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে খবর। নবনালন্দা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। ঘর থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ছাত্রীর নাম সৃজনী দালাল। এই ঘটনায় শোকাচ্ছন্ন গোটা এলাকা। পাড়ার অনেকের কাছেই প্রিয় ছিলেন সৃজনী। তার এমন আচমকা চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
সূত্রের খবর, সরস্বতী পুজো দিনভর বন্ধুদের সঙ্গে ছিল সৃজনী। সরস্বতী পুজোর দিন আর পাঁচজন যেমন থাকে অনেকটা তেমনি। এই দিনটা তো কার্যত ছাত্রছাত্রীদেরই। এদিকে বেহালার ওই ছাত্রী সরস্বতী পুজোর পরের দিন পাড়ায় ঠাকুর ভাসানের অনুষ্ঠানে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ির লোকজন বলে ফেলেছিলেন, ভাসানে যেও না। একটু পড়াশোনা করো। এরপরই অভিমানে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। তারপর সেই ঘর থেকেই উদ্ধার করা হল ছাত্রীর নিথর দেহ।
সূত্রের খবর, সরস্বতী পুজোর দিনও দিনভর বন্ধুদের সঙ্গে ছিল সৃজনী। বেশ রাত করেই বাড়ি ফিরেছিল। পরের দিন রাতে ফের সে সরস্বতী পুজোর ভাসানে যাওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু এনিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন তার বাড়ির লোকজন। কিছুটা বকাঝকাও করেছিলেন। আর তারপরই এই মর্মান্তিক ঘটনা। মনে করা হচ্ছে, আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্রী। শোকে পাথর গোটা পরিবার।
এদিকে সৃজনী বর্তমানে দশম শ্রেণিতে পড়তেন। সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ির লোকজনের কিছুটা চিন্তা রয়েছে। সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক পরীক্ষায় কী হবে তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন বাড়ির লোকজন। আগের দিন তাকে বকাবকি কিছু করা হয়নি। কিন্তু পরের দিন তাকে পড়তে বসতে বলেছিলেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু কিশোরী মনে হয়তো এনিয়ে অভিমান হয়েছিল। শুক্রবার দুপুরে ঘরের দরজা বন্ধ করেছিল সে। ডাকাডাকি করার পরেও দরজা কিছুতেই খুলছিল না। শেষ পর্যন্ত ওই ঘর থেকেই উদ্ধার করা হল ছাত্রীর নিথর দেহ। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ পরে দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।