'দল থেকে যেন কুণাল ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়।' সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে আর্জি জানিয়ে মেসেজ করেছিলেন ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতা। সেই মেসেজের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিকে ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতার সেই অনুরোধের জবাবে সুদীপ বলেন, ৪ জুন তিনি যাবতীয় বিতর্ক নিয়ে 'জবাব' দেবেন। আপাতত তাঁর নজরে শুধুমাত্র ১ জুনের নির্বাচন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই সব বার্তায় দেখা যাচ্ছে, সুদীপকে সেগুলি পাঠিয়েছেন সারা বাংলা আতশবাজি সমিতির নেতা বাবলা রায়। এই বাবলা রায় সুদীপকে লিখেছিলেন, 'আপনি দলনেত্রীকে বলুন, কুণালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।' বাবলা আরও হুঁশিয়ারি দেন, 'দাদা এইসব জালিদের বের না-করলে আমি সাংবাদিক সম্মেলন করে ৩১ লাখ সদস্যকে নিয়ে সরে দাঁড়াব।' (আরও পড়ুন: 'দল সব জানত, সবাই এখনও ধরা পড়েনি', নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল)
আরও পড়ুন: অপসারিত কুণালের 'স্তুতি' অভিজিতের গলায়, 'এটা অমানবিকতা', বললেন দিলীপ
আরও পড়ুন: শুধু করলেই হবে না, বাংলার এই সরকারি কর্মীদের কাজের মানের মূল্যায়নও হবে এবার!
বাবলার এই বক্তব্যের জবাবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মেসেজে লেখেন, 'এগুলোকে এড়িয়ে যা। তুই পুরো উদ্যমে পয়লা জুনের ভোটটা করা। চার জুন জবাব দেব।' এরপর বাবলা ফের মেসেজ করে লেখেন, 'তুমি নেত্রীকে বলো। আমিও মেইল করছি। প্রাক্তন মুখ্যসচিব (হরিকৃষ্ণ) দ্বিবেদিকে বলেছি মুখ্যমন্ত্রীকে বলার জন্য।' এরপর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, 'আচ্ছা বলছি।'
আরও পড়ুন: ভোটের মাঝে সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের জন্য বড় বদল, বিজ্ঞপ্তি রাজ্য অর্থ দফতরের
উল্লেখ্য, গতকালই বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়কে ভালো বলে তৃণমূল কংগ্রেসে নিজের পদ হারিয়েছেন কুণাল ঘোষ। বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে যে কুণালকে দলের থেকে অপসারণ করা হল। সেইসঙ্গে তৃণমূলের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে কুণালের বক্তব্যকে আর যেন তৃণমূলের মন্তব্য হিসেবে বিবেচনা না করা হয়। বরং যদি কোনও সংবাদমাধ্যম কুণালের বক্তব্যকে তৃণমূলের অবস্থান হিসেবে তুলে ধরে, তাহলে সেই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: জুলাই থেকে বন্দে ভারত মেট্রোর ট্রায়াল রান, 'এমন সব জিনিস থাকবে...', জানুন ফিচার
প্রসঙ্গত, বুধবার কলকাতা ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে রক্তদান শিবিরে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী তাপসের যে ভূয়সী প্রশংসা করেন কুণাল, তা মোটেও ভালোভাবে নেয়নি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেইসঙ্গে গত রবিবার নাম না করে দেবকে যে আক্রমণ শানান কুণাল, সেটাও ভালো চোখে দেখা হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত। কুণাল বলেছিলেন, 'রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাকুক। আপনাদের অগ্নিবীণা ক্লাব এভাবেই সকলকে। ওই তো আমাদের তৃণমূল আইটি সেলের সব চলে এসেছে। মাঝখানে শুধু একটা রাস্তা হয়ে গিয়েছে। এপার-ওপার। এপার-ওপার। এখানে অন্য দলের লোকজন রয়েছেন। তাপসদা জানেন, তাপসদা'কে এক পরিবাবের মধ্যে রাখতে শেষ চেষ্টা করা হয়েছিল। কারণ তাপসদা আমাদের খুব প্রিয় পাত্র। তাপসদার দরজা সারাদিন, সারারাত মানুষের জন্য খোলা থাকে, কর্মীদের জন্য খোলা থাকে। তাপসদা যেভাবে অতীতে মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন, তা রাজনীতিবিদ তাপসদার একটা বড় ফ্যাক্টর। যখন-তখন দলের যে কোনও কর্মী তাঁকে পান। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে রাজনীতির ময়দান, আমরা একটা উলটো দিকে পড়ে গিয়েছে।'