গত বছরের ছবিটাই যেন ফিরে ফিরে আসছে বার বার। বেড়ানোর যাবতীয় শখ শিকেয় তুলে করোনার সংক্রমণ এড়াতে যাবতীয় ট্রেনযাত্রা বাতিল করতে চাইছেন যাত্রীদের অনেকেই। বিশেষত পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে নানা বিধিনিষেধ আরোপের জেরেও দূর রাজ্যে যেতে চাইছেন না অনেকেই। অগত্যা আগে থেকে বুক করে রাখা টিকিট বাতিলের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। টিকিট বাতিলের জন্য সরাসরি কাউন্টারে গিয়ে হাজির হচ্ছেন যাত্রীরা। কিন্তু এত নগদ টাকা ফেরৎ কী করে দেবে রেল? এর সঙ্গেই রেল সূত্রে খবর, টিকিট সংরক্ষণের হারও কমছে হু হু করে। দক্ষিণ পূর্ব রেলে চলতি মাসের শুরুতে এক দিনে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রী খড়্গপুর ডিভিশন থেকে সংরক্ষিত আসনে টিকিট কেটেছিলেন। আর গত শনিবার সেই সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে চার হাজারে।
হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনেও টিকিট সংরক্ষণের হার একধাক্কায় ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। রেল সূত্রে খবর, যে হারে সংরক্ষণ হচ্ছে তার তুলনায় অনেক বেশি টাকা ফেরৎ দিতে হচ্ছে। সেই নগদ যোগানের ক্ষেত্রেও মারাত্মক সমস্য়া হচ্ছে। এর জেরে একাধিক কাউন্টারে ঘুরতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এদিকে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, সিকিম, অসম, তামিলনাড়ু সহ বিভিন্ন রাজ্যে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু বিধিনিষেধ করা হয়েছে। সেই নিয়মের গেরোতে পড়ার আশঙ্কাতেও অনেকে টিকিট বাতিল করে দিচ্ছেন। তবে শুধু দূরপাল্লার ট্রেনেই নয়, এবার লোকাল ট্রেনেও যাত্রী সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। অনেকেই জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ট্রেনে চাপতে চাইছেন না। এদিকে মাস্ক ছাড়া ট্রেনে উঠলে জরিমানারও ব্যবস্থা করেছে রেল। সব মিলিয়ে সংক্রমণ এড়াতে একদিকে কমছে রেলযাত্রী সংখ্যা। তেমনি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পর্যটনের ক্ষেত্রেও এবার বড় ধাক্কা দিতে চলেছে।