শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের গ্রেফতারিতে উপাচার্য পদের গরিমা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এমনই বিস্ফোরক করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সৌগত রায়। বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে এই বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। সঙ্গে পার্টিকে বাঁচাতে সুবীরেশের বাড়বাড়ন্তের দায় ঠেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওপর।
এদিন সৌগতবাবুকে বলতে শোনা যায়, ‘সুবীরেশবাবু কী ভাবে উপাচার্য হয়েছিলেন আমি জানি না। উনি বটানির লোক। তাঁর কী এমন মহৎ গুণ আমি জানি না যে একই সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, উপাচার্য, আবার শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষের পদটাও উনি ছাড়েননি। এগুলো কেন কেউ দেখেনি আমি জানি না’।
খিদের জ্বালায় কান্নাকাটি করছিল শিশু, শ্বাসরোধ করে খুন করল পিসেমশাই
সৌগতবাবু স্পষ্ট বলেন, ‘তিনি গ্রেফতার হওয়ায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে। আর উপাচার্য পদের মহিমা - গরিমা অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হল। শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন উপাচার্য জেলে যাচ্ছেন, এতে আমি লজ্জিত। পার্টির প্রতি কোনও আনুগত্য ছিল বলে জানি না। ব্যক্তির প্রতি আনুগত্য হতে পারে। বিড়ম্বনায় পড়েছে পার্টি তার জন্যে’।
বলে রাখি, সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতা বেশ পুরনো। মানিক ভট্টাচার্যের হাত ধরেই শিক্ষা মহলে তাঁর উত্থান বলে জানা গিয়েছে। ২০১৭ সালে তাঁকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটের সদস্য করে সরকার। ২০১৮ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি লিট উপাধির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেন। ওই বছরই ‘নিরলস সাহিত্যচর্চার জন্য’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি লিট পান মমতা। তার পরই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন সুবীরেশ। পরে তাঁকে হিল ইউনিভার্সিটিরও উপাচার্য নিয়োগ করে রাজ্য সরকার।