প্রথম রাউন্ডে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ৮৫। তারপরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো দূর, ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালেরও ধারের কাছে আসতে পারবেন না বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। গণনা যত এগিয়েছে, ততই করুণ দশা সামনে এসেছে বামেদের। দ্বিতীয় রাউন্ডে তো ৫০ ভোটও যায়নি শ্রীজীবের ঝুলিতে। ১১তম রাউন্ডে গিয়ে ১৫০০ ভোটের গণ্ডি পার করেন শ্রীজীব। এরপর ভোট গণনা শেষে টেনেটুনে ৪২০১-এ পৌঁছান শ্রীজীব।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে বাম প্রার্থী শ্রীজীবের ঝুলিতে যায় ১৩২ ভোট। প্রথম রাউন্ডে তাঁর নামের পাশে ছিল ৮৫টি ভোট। অর্থাত্, দ্বিতীয় রাউন্ডে শ্রজীবীর পক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৪৭টি ভোট। এরপর তৃতীয় রাউন্ড শেষে ঘোষিত ফলে দেখা যায় বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসের প্রাপ্ত ভোট ২৫০। আর পঞ্চম রাউন্ড শেষে দেখা যায় শ্রীজীব পান মাত্র ৩৪৩টি ভোট। এরপর ১১তম রাউন্ডে গিয়ে ১৫০০ ভোটের গণ্ডি পার করেন শ্রীজীব। ২১ রাউন্ড শেষে ৪২০১ ভোট পান শ্রীজীব।
এদিকে মমতার ঝুলিতে ৮৪ হাজার ৭০৯টি ভোট গিয়েছে। প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল মমতার থেকে ৫৮ হাজার ভোটে পিছিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। ভোট পান ২৬ হাজার ৩২০টি। সেখানে শ্রীজীব পাঁচ অঙ্কের বহুদূরে যাত্রা শেষ ক। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে হেরে দ্বিতীয়বার ‘পরীক্ষা’য় বসেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকেই দেখছিল রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে সেই প্রিয়াঙ্কাও মমতাকে কোনও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেননি ভবানীপুরে। সেখানে লাল পতাকা ভাঁজ করে ভোটযুদ্ধে রীতিমতো আত্মসমর্পণ করেন শ্রীজীব।