এবার গ্রুপ সি–তে ৮৪২ জনের মধ্যে ৫৭ জনের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। আর তারপরই এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই ঘটনা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ কেলেঙ্কারির পর কেলেঙ্কারি সামনে আসছে। এদিন সামনে এল স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি’র সুপারিশপত্র ছাড়াই গ্রুপ সি’র চাকরি করছেন ৫৭জন। আর এই ঘটনায় রীতিমত বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
গোটা ঘটনা শুনে এবং তথ্য দেখে তিনি এই ৫৭ জনের চাকরি বাতিল করেন। আর বলেন, ‘এই ৫৭ জন কী করে চাকরি পেলেন? এঁদের সুপারিশপত্র কে দিয়েছেন? শান্তিপ্রসাদ সিনহা?’ শুনানি চলাকালীনই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি। শুধু তাই নয়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ওই ৫৭ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন তিনি। তারপরই এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
আজ, শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপারিশপত্র বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগপত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বলেছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। এবার সেই মতো কাজ হল। গত ৩ মার্চ গ্রুপ–সি মামলায় কমিশনের হলফনামা দেখে কার্যত বিস্ময়প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। কীভাবে এনওয়াইএসএ এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারে একই প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর দু’রকম হল সেটা নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে জানান হয়, ‘সেই সময় কমিশনে থাকা ব্যক্তিরা অযোগ্যদের নিয়োগ করার জন্য এমন করে থাকতে পারে।’
সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজসাক্ষী হতে পারেন তাপস–নীলাদ্রি। সিবিআই রাজি থাকলে যে তাঁদের বিশেষ আপত্তি নেই, আদালতে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। যদিও রাজসাক্ষী হওয়ার ব্যাপারে যে হুগলির যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুন্তল ঘোষ বিশেষ ইচ্ছুক নন সেটা আদালতের লকআপে যাওয়ার আগে জানিয়ে দেন তিনি। সেক্ষেত্রে সিবিআই রাজি হলে তবেই তাপস মণ্ডল ও তাঁরই সঙ্গী নীলাদ্রি ঘোষ হতে পারেন রাজসাক্ষী।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup