ঠেলার নাম বাবাজি! কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের চাপের মুখে পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যুর আসল সংখ্যাটা বলতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার বিকেলে এই ভাষাতেই রাজ্য সরকারকে আক্রামণ করলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে তিনি বলেন, করোনায় মৃতের সংখ্যা লুকিয়ে সামাজিক অপরাধ করেছে রাজ্য সরকার।
এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত অবস্থায় কারও মৃত্যু হলেও তার মৃত্যু অন্য কারণে হয়েছে বলে এতদিন দাবি করছিল রাজ্য সরকার। সংখ্যাটাই বলেনি। এবার তারা সত্যিটা জানাতে বাধ্য হল।’ দিলীপবাবুর দাবি, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, রোগীর মৃত্যুর কারণ একমাত্র চিকিৎসকই বলতে পারেন। কিন্তু রাজ্য সরকার বাইরের লোক দিয়ে মৃত্যুর কারণ ঠিক করছিল। এটা অনুচিত।’
এদিন ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে করোনায় মৃতদের দেহ গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন দিলীপবাবু। বলেন, ‘দেহ লোপাট করে তাদের অন্য রোগে মৃত্যু হয়েছিল বলে দাবি করছে সরকার। এমন কি হতে পারে না, অন্য রোগে থাকলেও করোনা সংক্রমণ তাঁর মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করেছে?’
এদিন ফের একবার করোনা মোকাবিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে বেরনোকে সমালোচনা করেন দিলীপবাবু। বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মাইক নিয়ে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আর লকডাউন ভাঙছেন।’
বলে রাখি, শুক্রবার নবান্নে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, পশ্চিমবঙ্গে করোনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ডেথ অডিট কমিটি। সঙ্গে জানান, আরও ৩৯ জনের মৃত্যু করোনা সংক্রমিত অবস্থায় হলেও তাদের মৃত্যুর কারণ করোনা নয়। এক্ষেত্রে রাজ্যের যুক্তি করোনা সংক্রমিত অবস্থায় কেউ পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলে তো তাঁকে তো করোনায় মৃত বলা যায় না। যদিও এই তথ্য গত ১ এপ্রিল থেকে প্রকাশ করেনি রাজ্য সরকার। যার জন্য তাদের বিরুদ্ধে করোনার তথ্য চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্বজুড়ে।
ওদিকে এদিন মুখ্যসচিব করোনায় সংক্রমিত অবস্থায় মৃতের সংখ্যা ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁকে চিঠি দেন কলকাতা সফররত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান। রাজ্যের তৈরি করা ডেথ অডিট কমিটি নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন করেন তিনি। ডেথ অডিট কমিটির কাছে জমা পড়া যাবতীয় নথি চেয়ে পাঠান তিনি। সঙ্গে ডেথ অডিট কমিটির সঙ্গে দেখা করতে চান তাঁরা।