কোভিডের বাড়বাড়ন্ত, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে রাজ্যের। জার পরিমাণ হল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। বাজেট অধিবেশনে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, ওই সমস্ত কারণে ২০২১-২২ আর্থিক বছরে যে বাজেট ধার্য করা হয়েছিল তার চেয়ে প্রায় ২১ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হয়েছে রাজ্যকে। যারফলে বাজার থেকে টাকা ধার করার ফলে সুদ বাবদ রাজ্যকে গুনতে হবে অতিরিক্ত ৪৫৫৬ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য এবং কল্যাণ খাতে এই সমস্ত অর্থ খরচ করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী এই তথ্য তুলে ধরার পর বিজেপির পক্ষ থেকে সেরকমভাবে বিরোধিতা করা হয়নি। তবে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিস্থিতির কারণে রাজ্যকে বাধ্য হয়েই এই খরচ করতে হয়েছে এবং তা কাজেও লেগেছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও অর্থ বরাদ্দ না করা নিয়ে তোপ দাগেন অর্থমন্ত্রী। যদিও এই খরচ বাস্তব সম্মত কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। তাঁর প্রশ্ন ছিল, সরকার যে প্রচুর পরিমাণে টাকা খরচ করেছে তাতে আদৌও কাজ হবে তো? এরপরে বিজেপিকে নিশানা করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, পরিস্থিতিগত কারণে কোভিডের জন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও বাড়াতে হয়েছে। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য করা হয়েছে। পড়ুয়াদের বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে রাজ্যকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয়েছে।
একইসঙ্গে, রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের যেভাবে উন্নতি হয়েছে তার ক্ষতিয়ানও তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যে ১৩৫৫ টি আসন ছিল মেডিকেলে। এখন তা বেড়ে ৫০০০ হয়েছে। এরপরেই চন্দ্রিমার বক্তব্য চলাকালীন বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা।