কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী স্বাধ্বী নিরঞ্জন সম্পর্কে কুকথা বলেছেন তৃণমূল এমপি কাকলি ঘোষদস্তিদার। এবার এই অভিযোগ তুলে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক্স হ্য়ান্ডেলে লিখেছেন, একজন নারী সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করাটা একজন এমপির পক্ষে শোভন নয়। তিনি আবার চিকিৎসকও। ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী একজন স্বাধ্বী। কিন্তু এটাই হল এখন তৃণমূলের সংস্কৃতি। তাঁর বসেরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করেন। আগামী ভোটে তাঁর টিকিট সুরক্ষিত করার জন্য বসেদের খুশি করতে তিনি এসব বলছেন। বর্তমানে নীচের স্তরের টিএমসির কর্মচারীরা বসেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এসব করছেন। আমি আশা করি বারাসতের শ্রদ্ধেয় ভোটাররা এই অশালীন ভাষাটা খেয়াল করবেন।
তিনি ও তাঁর বসেরা যে ভাষা বোঝেন তাতেই আমি জবাব দেব। আমি ভালো করেই জানি এমজিএনআরইজিএর ফান্ড আমার শ্রদ্ধেয় বাবার নয়,এটা দেশের মানুষের। কিন্তু সেই সঙ্গে এটা আপনার বা আপনাদের বসেদের বাবাদেরও নয় যাতে লুঠ করা যায়।
কিন্তু ঠিক কী বলেছিলেন কাকলি?
কাকলি বলেন, বিশ্বাস করবেন না তাঁর কথা যিনি স্বাধ্বী হয়েও মিথ্য়া কথা বলেন। নরকেও জায়গা হবে না। এখন অভিষেকে ভয়ে ছুটে এসেছেন। যারা গরীব মানুষের টাকা মেরে খেয়েছে। এরও আবার গল্প আছে। চিঠির পাঁজা নিয়ে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে সকলে গেলেন কৃষি ভবনে। তাদের নাম লেখা হল। আই কার্ড দেখি। যদি আপনি না জানতেন তাহলে কীসের নাম লিস্ট তৈরি করল আপনার অফিস। সিকিউরিটি অফিসার রোল কলের মতো ডেকে ভেতরে বসাল। তারপর তিনি সাড়ে তিনটে নাগাদ এখানে এক বিরোধী দলনেতা আছেন, যিনি মহিলা পুলিশ দেখলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি বলেন, ডোন্ট টাচ মি নেতা গিয়ে পৌঁছে গেলেন মহিলার সামনে। ফুলের তোড়া গেলেন। আরে….ওই টাকা কি তোর বাপের টাকা নাকি? সরি ওই কথাটা বলব না। টাকা ভারতবর্ষের টাকা। বললেন কাকলি।
প্রসঙ্গত দিল্লিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী স্বাধ্বী নিরঞ্জনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতারা। কিন্তু সেখানে তাঁর দেখা পাননি তাঁরা। এরপর কলকাতায় এসে রাজভবনের সামনে ধর্না।