রাজ্য–রাজনীতিতে তারিখের কথা বলে চমকে দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেসব না মেলায় হাজরা মোড়ের সভা থেকে তারিখ পরিবর্তনের কথা জানান তিনি। এবার সেটাও মিলল না। শুধু তারিখ নয়, মাসেরও পরিবর্তন হয়ে গেল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার পূর্বাভাস ডাহা ফেল করল। তাতে আরও হাসির খোরাক হলেন শুভেন্দু অধিকারী। কারণ সুপ্রিম কোর্টে আবার পিছিয়ে গেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনের শুনানি। আজ শুক্রবার অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হচ্ছে না। আগামী ১৪ মার্চ তাঁদের মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
ঠিক কী করেছিলেন শুভেন্দু? ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে শুভেন্দু অধিকারী তিনটি তারিখ দিয়েছিলেন। রাজ্য–রাজনীতির প্রকাশ্য দিবালোকে নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানিয়েছিলেন, ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বর ‘ধামাকা’ হবে। কিন্তু বাস্তবে কোনও ধামাকা রাজ্যবাসীকে দেখাতে পারেননি তিনি। অর্থাৎ সবটাই ফাঁকা আওয়াজ ছিল বলে মনে করছেন রাজ্যবাসী। ১২ ডিসেম্বর শুভেন্দুর প্রথম দেওয়া তারিখে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেকের মামলার শুনানি হয়নি। বরং এই তারিখের রাজনীতি বিজেপিই সমর্থন করেনি। বিপাকে পড়ে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা সরে পড়েছিলেন।
তারপর ঠিক কী ঘটেছিল? এই ঘটনায় বিরোধী দলনেতা দমে যাননি। সে দিনই হাজরার সভায় যাওয়ার আগে সিবিআই দফতরে যান তিনি। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু হাজরায় আসেন। আর জোর গলায় বলেছিলেন, ‘আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে ধেড়ে ইঁদুর ধরা পড়বে। ১২ ডিসেম্বরটা ১৩ জানুয়ারি হবে। কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে না।’ জানুয়ারি মাস কেটে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে শেষের পথে। ভ্যালেন্টাইন ডে চলে গিয়ে শুভেন্দুর দেওয়া নতুন তারিখের মেয়াদও ফুরিয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, আগামী ১৪ মার্চ শুনানির তালিকায় মামলাটি নথিভুক্ত হতে পারে। সুতরাং অভিষেকের অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ল। আর বহাল থাকল তাঁর স্ত্রীর রক্ষাকবচও। কয়লা পাচার মামলায় রক্ষাকবচ এবং কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানিয়ে ২০২২ সালের ১৭ মে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী। ইডি তাঁদের আবেদনের বিরোধিতা করলেও আদালত তা শোনেনি। বরং সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, এই দু’জনের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না ইডি।