মানহানির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিম্ন আদালত এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর কাছে জবাবি হলকনামা তলব করেছিল। সেই সংক্রান্ত মামলায় শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন তিনি হলফনামা দেবেন না। তাই নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি শম্পা সরকার নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মমতার ভাইপোর বিয়েতে মোতায়েন চিকিৎসকদের খাবার, শয্যা নিয়ে তোপ শুভেন্দুর
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কেন মানহানি মামলা?
উলুবেরিয়া মহকুমা আদালতে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়। বিরোধী দলনেতা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রের ‘জলজীবন মিশন’ প্রকল্পে ফেরুল অর্থাৎ মূল পাইপ থেকে মুখ জোড়ার যন্ত্রাংশ কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন। সে ক্ষেত্রে শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, যেখানে এই প্রকল্পের খরচ হল ১০৮৬ কোটি টাকা সেখানে শুধুমাত্র ফেরুল কিনতে গিয়ে বেনিয়ম করায় কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ ছিল, যেখানে খোলা বাজারে ফেরুলের দাম মাত্র ২১৩ টাকা সেই ফেরুল কেনা হয়েছে দ্বিগুণ দরে। ৫৭০ টাকায় কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা। শুধু তাই নয় সেগুলি কেনার জন্যও পছন্দমত সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিলেন শুভেন্দু।
এদিকে, বিরোধী দলের নেতার এরকম অভিযোগ একেবারে মানতে চাননি পুলক রায়। তাঁর বক্তব্য, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য মিথ্যা বলা হয়েছে। এর জন্য তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে ক্ষমা চাইতে বলে আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু, জবাব না পাওয়ায় ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন উলুবেরিয়া মহকুমা আদালতে।
সেই মামলায় এক পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে শুভেন্দু অধিকারীকে জবাবি হলকনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যেহেতু একপক্ষের শুনানির ভিত্তিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাই উলুবেরিয়া মহাকুমা আদালতের নির্দেশের উপর অন্তবর্তী স্থগিত দেন বিচারপতি শম্পা সরকার। আদালতের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। একইসঙ্গে মামলার বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী পুলক রায়কে নোটিশ পাঠানোর জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১১ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।