এনআরএস হাসপাতালে রোগীর পরিবারকে কাটা পা ফেরানো কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্য ভবন। কীভাবে রোগী পরিজনের কাছে রোগীর কাটা পা গেল? তা জানতে এনআরএস কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল স্বাস্থ্য ভবন। কেন এরকম ঘটনা ঘটল? কারা এর জন্য দায়ী? সে সমস্ত বিষয়ে হাসপাতালের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সেক্ষেত্রে পদক্ষেপ করতে পারে স্বাস্থ্য ভবন।
আরও পড়ুন: রোগীর কাটা পা পরিবারকে ধরিয়ে বাড়ি যেতে বলল নার্স, NRS হাসপাতালে অমানবিক ছবি
বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট নিয়ম অনুযায়ী, রোগীর কোনও অঙ্গ বাদ গেলে সেগুলির কী করা হবে? তার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী, অঙ্গের ডেট সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয় এবং সেগুলি মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে তেমনটা না করে রোগী পরিবারের হাতে পৌঁছে গিয়েছিল দুটি কাটা পা। সেক্ষেত্রে হাসপাতালের এক নার্সের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রথম সারির সরকারি হাসপাতালে এই ধরনের ঘটনায় রীতিমতো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থার ছবিও ধরা পড়েছে। সাধারণত সরকারি হাসপাতালের নার্সদের বিরুদ্ধে রোগী এবং রোগী পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তবে এই ঘটনা সব সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। এদিকে, ঘটনাটির কথা স্বীকার করেছেন হাসপাতালের অধ্যক্ষ পীতবরণ চক্রবর্তী। তবে তাঁর বক্তব্য, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, মহম্মদ রাজ নামে এক যুবক গত সোমবার তিনি ট্যাংরা থেকে লক্ষীকান্তপুর যাওয়ার সময় কোনওভাবে ট্রেন থেকে পড়ে যান। তাঁর দুটি পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা হাঁটুর নিচে থেকে দুটি পা কেটে বাদ দেন। তাঁকে পরিবারের সদস্যরা দেখতে গেলে কর্তব্যরত নার্স রাজের কাটা দুটো পা তাদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাড়ি যেতে বলেন। পরিবারের সদস্যরা সেই কাটা পা দুটি নিয়েই রাজের সঙ্গে দেখা করেন। পরে কর্তব্যরত পুলিশকর্মী নজরে পড়ে বিষয়টি। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পা দুটি মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন পরিবারের সদস্যরা। নার্সের এমন কাণ্ডে শোরগোল পড়ে যায়।