রবিবার রাজনীতি থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আর মঙ্গলবার গড়াতে না গড়াতে দলের প্রবীণ নেতাদের পদ আঁকড়ে থাকার প্রবণতা নিয়ে মুখ খুলে শোরগোল ফেলে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তাপস রায়। তাপসবাবুর মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন তাঁর পড়শি বিধায়ক মদন মিত্র। ওদিকে তাঁর অভিপ্রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে তাপসবাবু বলেন, ‘অনেকে আগেই অচল হয়ে যায়। অনেকে বেশি বয়স পর্যন্ত সচল থাকন। আমি সেটাতে যাচ্ছি না। আমি বলছি বয়সের একটা সর্বোচ্চ সীমা থাকা উচিত। আমি নবপ্রজন্মের কথা বলব আর নিজে পদ আঁকড়ে ধরে থাকব। বাহ! হয়’?
তাপস রায়ের পাশে দাঁড়িয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, ‘যেভাবে তৃণমূলকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে সত্যিই ভালো তাজা প্রস্ফূটিত সমাজের প্রথম সারিতে নিয়ে যাওয়ার মতো লোকেদেরই নিয়ে এসে তৃণমূলটা সংগঠিত হচ্ছে। একটা সময় তো ৭২কে যেতে হবে। ১৯৭২ চলে গেছে, আর বয়সের ৭২ যাবে না’?
ডায়মন্ড হারবারে আত্মঘাতী তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান, সুইসাইড নোটে নাম প্রধানের
তাপসবাবুর ভাবনাকে সাধুবাদ জানালেও তাঁর অভিপ্রায় নিয়ে সন্দিহান বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘তাপসবাবু যদি সত্যিই একথা মনে করেন তাহলে তাঁর পদ ছেড়ে নজির তৈরি করা উচিত। যাদের বয়স হয়ে গেছে তারাই তো উলটো পালটা বলে বিতর্ক তৈরি করছেন। তবে ওনার পার্টিতে যে বিদ্রোহ হয়েছে তা দেখে তিনি হয়তো বৈরাগ্য নিতে চাইছেন। সেটা নয় তো? ওনারা যে পার্টি তৈরি করেছেন তাকে শুদ্ধ করার দায়িত্বও ওনাদের নিতে হবে। কারণ এই পার্টি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকে অশুদ্ধ করে দিয়েছে। ওরকম একটা পচা পার্টি ছেড়ে আপনি পালিয়ে যাবেন। কার ঘাড়ে দিয়ে যাবেন? মানুষ কি এজন্য আপনাদের ভরসা করে ভোট দিয়েছিল’।
দিলীপবাবুর সংযোজন, ‘আমাদের পার্টিতে একটা বয়স হলে নেতারা রাজনীতি ছেড়ে দেন। কিন্তু তৃণমূলের মধ্যে কোনও নীতি, নৈতিকতা, সংবিধান, পরম্পরা নেই। তাই এখানে কেউ এসব বললে সন্দেহ হয়, হয়তো হেরে গিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে’।