স্কুল শিক্ষকদের বদলির জন্য উৎসশ্রী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্পে বদলি নিয়ে প্রথম থেকেই নানা ধরনের অভিযোগ উঠছে। এবার এই প্রকল্পের মাধ্যমে বদলি হয়েও হয়রানির শিকার হতে হল স্কুল শিক্ষিকাকে। এনিয়ে মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। উৎসশ্রীর মাধ্যমে বদলি হয়েও ওই স্কুল শিক্ষিকাকে পুনরায় পুরনো স্কুলে ফেরানোর নির্দেশ দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুরঙ্গমা সিংহরায় নামে ওই শিক্ষিকা। এই মামলায় বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় শিক্ষিকার বদলির নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। মামলাকারীর আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, তাঁর মক্কেল ঠাকুরনগর বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। উৎসশ্রীতে আবেদনের পর তাঁকে বদলি করা হয় মধ্যমগ্রাম এপিসি গার্লস স্কুলে। গত ৭ সেপ্টেম্বর তিনি ওই স্কুলে যোগ দেন। প্রথমে বেশ ঠিকঠাকই চলছিল। তবে প্রায় দুমাস পর ৩ নভেম্বর তাঁর বদলির নির্দেশ বাতিল করে দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাঁকে পুনরায় পুরনো স্কুলে ফিরে যেতে বলা হয়। আইনজীবীর প্রশ্ন যদি পদ খালি নাই থাকে তাহলে উৎসশ্রী পোর্টালে তা কেন দেখানো হল? আর দুমাস পর কেন বদলির নির্দেশ বাতিল করা হল?
আদালতের কাছে তাঁর মক্কেলের বদলির নির্দেশ বাতিল করার আর্জি জানান আইনজীবী। তার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেন। আগামী ২৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এর মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে আদালত। যদিও এসএসসির দাবি, উৎসশ্রীতে দেখানো হয়েছিল ওই স্কুলে পদ ফাঁকা আছে। তবে ওই শিক্ষিকা যে বিষয়ের সেই বিষয়ের পদ ফাঁকা আছে কিনা তা আলাদাভাবে কমিশনের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয় না। ফলে ওই স্কুল শিক্ষিকাকে স্কুলে না ফেরালে তাঁর বেতন বন্ধ হয়ে যেত।