পিনাকী ভট্টাচার্য
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সরষের মধ্যেই ছিল ভূত! তাই কি সিটের ২ আধিকারিককে তদন্ত থেকে অব্যহতি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার বিচারপতির নির্দেশ কার্যত নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্তের পিছনের কারণ খুঁজতে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, এই মামলায় অভিযুক্তদের সঙ্গে গোপনে সমঝোতা করে চলছিলেন নিষ্কৃতিপ্রাপ্ত ২ আধিকারিক ইমরান আশিক ও কেসি ঋষিনামল।
SSC নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গঠিত সিটের কাজে অখুশি হয়ে বুধবার তা পুনর্গঠন করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিটের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেন এসপি রাজীব মিশ্রকে। সঙ্গে নবম – দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তকারী আধিকারিক কেসি ঋষিনামল ও একাদশ – দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তকারী আধিকারিক ইমরান আশিককে সিটের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেন তিনি। এর পরই সিবিআইয়ের এই ২ আধিকারিককে নিয়ে তত্ত্বতলাশে উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত সম্পর্কে স্বামী - স্ত্রী ইমরান আশিক ও কেসি ঋষিনামল। ইমরান আশিক পশ্চিমবঙ্গেরই বাসিন্দা। কেসি ঋষিনামল কেরলের। মামলাকারীদের একাংশ জানিয়েছেন, তদন্তে নামে তাদের লাগাতার প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন এই ২ আধিকারিক। মামলাকারীদের রীতিমতো হুমকি দিচ্ছিলেন তাঁরা। চাপ দিচ্ছিলেন মামলা তোলার জন্য।
এখানেই শেষ নয়, এই ২ আধিকারিক তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন বলে আশঙ্কা আইনজীবীদের একাংশের।
বিচারাধীন বিষয়ে নাম না প্রকাশের শর্তে মামলাকারীদের এক আইনজীবী বলেন, ‘ইমরান আশিক ও কেসি ঋষিনামল মামলাকারীদের মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। মামলা প্রত্যাহার না করলে ফল ভালো হবে না বলেও হুমকি দিচ্ছিলেন তাঁরা’।
বুধবার এই ২ আধিকারিককে অব্যহতি দিয়ে ৪ জন নতুন আধিকারিককে সিটে অন্তর্ভুক্ত করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এরা হলেন, অংশুমান সাহা, বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, প্রদীপ ত্রিপাঠী, ওয়াসিম আক্রম খান। একই সঙ্গে গ্রুপ ডি মামলায় বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া প্রত্যেককে ২১ দিনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।