টেট পিছিয়ে গিয়েছে। প্রথমে বলা হয়েছিল ১০ ডিসেম্বর বাংলায় টেট হবে। এরপর আচমকাই সেই টেট পিছিয়ে ২৪ ডিসেম্বর করা হয়েছে। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওইদিনই কলকাতায় বিজেপির গীতাপাঠের আসর। সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে কেন টেট পরীক্ষাকে এভাবে পিছিয়ে দিয়ে ২৪শে ডিসেম্বর করা হল? যেদিন প্রধানমন্ত্রী এই রাজ্যে আসবেন সেদিনই টেট পরীক্ষা করে আদতে কি গেরুয়া শিবিরকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য় সরকার? সেদিন কি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ঝামেলা হতে পারে?
টেট নিয়ে দিনের পর দিন ধরে নানা জটিলতা। তবে শেষ পর্যন্ত সরকারি তরফে নোটিশ জারি করে বলা হয়েছিল ১০ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা হবে। সেই মতো পরীক্ষার্থীরা প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু আচমকাই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। সেখানে বলা হচ্ছে ১০ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা হবে না। টেট হবে ২৪ ডিসেম্বর। আচমকাই পিছিয়ে দেওয়া হল। এদিকে ওই দিনই কলকাতায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদিন কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বসবে গীতাপাঠের আসর। সেই আসরকে সফল করতে একেবারে আদা জল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে গেরুয়া বাহিনী। আর টেটের দিন বদলে দিয়ে ২৪শে ডিসেম্বর করে দিল শিক্ষা দফতর। মানে যেদিন প্রধানমন্ত্রী আসবেন শহরে সেদিনই টেট পরীক্ষা।
এদিকে টেট মানেই বাংলায় বড় ইভেন্ট। ট্রেনে বাসে টেট পরীক্ষার্থীর ভিড়। যাতে তারা সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে পারে তার ব্যবস্থা করাটা সরকারের কাছে বড় চ্য়ালেঞ্জ। আবার গীতাপাঠারে আসরেও দূর দূরান্ত থেকে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা আসবেন। আর প্রধানমন্ত্রী সেই আসরে উপস্থিত থাকলে সেটা অন্য় মাত্রা নেবে। আবার তিন রাজ্যে বিজেপির জয়ের পরে এই গীতাপাঠের আসরকে ঘিরে ব্যপক উৎসাহ বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। তার মধ্য়েই পিছিয়ে দেওয়া হল টেট। তবে কি গীতাপাঠের আসর যাতে ভেস্তে যায় সেকারণেই এই পরিকল্পনা?
তবে এনিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, টেট পরীক্ষা একটা টেকনিকাল বিষয়। পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা দেখাটা দরকার।
অন্য়দিকে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এটা অস্বীকার করা যায় না যে আগে বছর বছর পরীক্ষাটা অন্তত এটা হত। এখন তো সেটাও হয় না। টেট পরীক্ষার পিছিয়ে দেওয়ার পেছনে আসল উদ্দেশ্যটা কী?