ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ২০২৪-এর, ৭ মে, দিল্লি ক্যাপিটালসের ঘরের মাঠ অর্থাৎ অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ২০ রানে জিতে ছিল। এই ম্যাচের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের উইকেট। স্যামসন ৪৬ বলে ৮৬ রান করে মুকেশ কুমারের বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।
আরও পড়ুন… আতাপাত্তুর সেঞ্চুরিতে Women T20 WC 2024 Qualifier Final জিতে ভারতের গ্রুপে পা রাখল শ্রীলঙ্কা
বিতর্ক কী নিয়ে শুরু হয়েছিল-
বাউন্ডারি লাইনে কাছে গিয়ে সঞ্জু স্যামসনের ক্যাচটি ধরেন শাই হোপ, কিন্তু রিপ্লে দেখে মনে করা হয়েছিল হোপ পরিষ্কারভাবে ক্যাচটি নিতে পারেননি এবং তার পা বাউন্ডারি লাইনে স্পর্শ করেছিল। থার্ড আম্পায়ার যখন স্যামসনকে আউট দেন, তখন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক বেজায় চটে যান। এই সময়ে ক্রিকেট ডিরেক্টর কুমার সাঙ্গাকারাকেও বেশ ক্ষুব্ধ দেখাচ্ছিল। ম্যাচের পর অবশ্য কুমার সাঙ্গাকারা বলেন, ক্রিকেটে এমন ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে।
কী বললেন কুমার সাঙ্গাকারা?
এ দিকে সঞ্জু স্যামসন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে তার অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন, যে কারণে তাঁকে তার ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল। কুমার সাঙ্গাকারাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করে... আপনি রিপ্লের কোন কোণ থেকে এটা দেখছেন। এবং কিছু ক্ষেত্রে আপনার মনে হবে যে পা বাউন্ডারি লাইন স্পর্শ করেছে, কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারের জন্য এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। সেই সময় ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে, ক্রিকেটে এমনটা হয়। এ বিষয়ে আমাদের সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি, শেষ পর্যন্ত আপনাকে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে এবং আম্পায়ার সেটাই করেছেন।’
ম্য়াচের ফল কী হয়েছিল-
ম্য়াচের কথা বললে, প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি ক্যাপিটালস ২০ ওভারে আট উইকেটে ২২১ রান করে। জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক ২০ বলে ৫০ রান করেন এবং অভিষেক পোড়েল ৩৬ বলে ৬৫ রান করেন। এই দুজন ছাড়াও ট্রিস্টান স্টাবস খেলেছেন ২০ বলে ৪১ রানের ইনিংস। আর অশ্বিন চার ওভারে ২৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। জবাবে রাজস্থান রয়্যালস ২০ ওভারে আট উইকেটে ২০১ রান করে। স্যামসন যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, মনে হচ্ছিল রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচটি জিতে যেতে পারে, কিন্তু তিনি আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচটি পুরোপুরি দিল্লি ক্যাপিটালসের পক্ষে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত এদিনের ম্য়াচ জিতে ১২ ম্য়াচের শেষে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে দিল্লি। অন্যদিকে এই ম্যাচ হারার ফলে ১১ ম্য়াচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বর স্থান নিশ্চিত করেছে রাজস্থান।