বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Rabindra Bharati University: নিগৃহীত হতে পারেন, আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে যাওয়া বন্ধ করলেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য

Rabindra Bharati University: নিগৃহীত হতে পারেন, আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে যাওয়া বন্ধ করলেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য

অস্থায়ী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়

গত ৫ জুলাই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে কর্নাটক হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমলকে দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল বোস। রাজ্য প্রথম থেকেই এই নিয়োগের বিরোধিতা করে। আর সেখান থেকে সমস্যা সূত্রপাত হয়।

ক্যাম্পাসে গেলে নিগৃহীত হতে পারেন এই আশঙ্কায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়া বন্ধ করলেন অস্থায়ী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। রাজ্যপালই তাঁকে নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন সেই রাজ্যপালকেই চিঠি দিয়ে নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছেন উপাচার্য। তাঁকে আপাতত বাড়ি থেকেই কাজ করতে বলেছেন আচার্য।

নিরাপত্তহানীনতার কথা পুলিশকেও জানিয়েছেন উপাচার্য। পরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান,'বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না হাওয়া পর্যন্ত আমি যাব না। বাড়ি থেকেই আমার কাজ করব। নিরাপত্তার জন্য কী কী কাজ করতে হবে তা আমি সব রেজিস্ট্রারকে জানিয়েছি।'

গত ৫ জুলাই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে কর্নাটক হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমলকে দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল বোস। রাজ্য প্রথম থেকেই এই নিয়োগের বিরোধিতা করে। আর সেখান থেকে সমস্যা সূত্রপাত হয়। উপাচার্যের অভিযোগ, যেহেতু রাজ্যপাল নিয়োগ করেছেন তাই তৃণমূলের ধারণা হয়েছে তিনি আরএসএস বা বিজেপির লোক। তাঁর অভিযোগ, কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়, সনৎ চট্টোপাধ্যায়রা নানা ভাবে হেনস্থা করছেন। তাঁর পদত্যাগ দাবি করছেন। শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় বলেন, 'ঘরের বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ স্লোগান দিচ্ছে। ভিতরে আমাকে গালাগালি করছে। এতে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মান বাড়ছে?'

(পড়তে পারেন। কবে শুরু হবে CCTV বসানোর কাজ, উত্তর দিলেন JU-র রেজিস্ট্রার)

আরও ঘটনার কথা তিনি সাংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন,'গত শুক্রবার এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয় যে আমি ভয় পেয়ে যাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বৈঠক চলাকালীন আমার মনে হয় আমাকে চাপ দিয়ে ইস্তফাপত্র লিখিয়ে নেওয়া হবে। আমি আতঙ্কিত হয়ে বৈঠকের শেষে কলকাতা পুলিশের ডিসি (উত্তর)-কে ফোন করি। তিনি আমাকে লিখিত ভাবে অভিযোগ জমা দিতে বলেন। সেই মতো সিঁথি থানায় অভিযোগপত্র পাঠাই। পরে সাদা পোশাকে পুলিশ এসে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার করে নিয়ে যায়।'

আপাতত নিজের বাড়িতে দফতর বানিয়েই কাজ চালাবেন তিনি। ক্যাম্পাসে তাঁর নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু নির্দেশেও দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুবীর মৈত্রকে।

বন্ধ করুন