বাংলার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রকেই পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই এবার ঢালাও কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলে খবর। এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে কর্মীদের বার্তা দেওয়া এবং উজ্জীবিত করার কাজ করা হবে। আবার দ্বিতীয় দফার নবজোয়ার কর্মসূচি নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। দুর্গাপুজোর পরই নভেম্বর মাসে এই কর্মসূচি শুরুর নির্দেশ পৌঁছে যাবে ব্লকে ব্লকে। প্রচার করা হবে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের কর্মসূচি। প্রতিটি লোকসভা ভিত্তিক তৈরি হবে বই। আবার বিরোধীদের বিরুদ্ধে দলের প্রচারের গাইডলাইনও দেওয়া হবে। তার মধ্যেই আগামী অক্টোবর মাসে ২ ও ৩ তারিখে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে নয়াদিল্লিতে সরব হবে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রতিবাদের ধ্বনি বাংলার প্রতিটি ব্লকে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সর্বভারতীয় স্তরে ‘ইন্ডিয়া’ জোট গঠন করার কাজ সেরে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার দলীয় কর্মীদের ‘চাঙ্গা’ করতে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা এবং বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যু সামনে আনা হবে বলে সূত্রের খবর। এখন ১০০ দিনের বকেয়া পাওনার দাবিতে আগামী ২ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে রাজঘাটে ধরনায় বসছেন মমতা–অভিষেক। বাংলার বিভিন্ন জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি ব্লকে জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে নয়াদিল্লির প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখাতে।
অন্যদিকে প্রত্যেকটি ব্লকের বিডিও অফিসের সামনে দু’দিন ধরে প্রতিবাদ কর্মসূচির সম্প্রচার দেখানোর বন্দোবস্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের বিধায়ক এবং জেলা পরিষদ সভাধিপতিদের ১ অক্টোবরের মধ্যে পৌঁছতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংসদের অধিবেশন চলায় সাংসদরা আগে থেকেই নয়াদিল্লিতে থাকবেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা নয়াদিল্লি গিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। গান্ধী জয়ন্তীর দিনে রাজঘাটে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থনা করে কর্মসূচির সূচনা করবেন। তারপরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের অফিসে যাবেন পাওনা আদায়ের দাবিতে।
আরও পড়ুন: জয়নগরে হদিশ মিলল আস্ত অস্ত্র কারখানার, ফিল্মি কায়দায় পর্দাফাঁস পুলিশের
আর কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মতো ইস্যুকে সামনে রেখেই লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই পাহাড় থেকে সাগর—একেবারে বুথস্তর থেকে দলকে ভোটের ময়দানে সর্বশক্তিতে নামিয়ে আনতে দুর্গাপুজোর পর কর্মসূচি শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস। গিরিরাজ সিংয়ের দফতরে ৫০ লক্ষ চিঠি জমা দিয়ে দাবি আদায়ের পক্ষে সরব হবেন তাঁরা। তারপর ৩ অক্টোবর নয়াদিল্লির যন্তর মন্তরে একই দাবিতে ধরনা কর্মসূচি করা হবে। এই দু’দিনের কর্মসূচিই জায়ান্ট স্ক্রিন মারফত ব্লকে ব্লকে সম্প্রচার করা হবে বলে সূত্রের খবর।