আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাণ্ডব ও উপাচার্যকে আশ্রাব্য গালিগালাজের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রনেতার দায় আগেই অস্বীকার করেছিল তৃণমূল। এবার এই ঘটনাকে বিরোধীদের চক্রান্ত প্রমাণ করতে উদ্যোগী হল তারা। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ওদিকে এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিরোধীরা।
এদিন কুণালবাবু বলেন, যে ছাত্র এই কাজ করেছে তাকে নানা আপত্তিকর কাজের জন্য ৩ বছর আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার পর যে নেতার সঙ্গে ওই ছাত্র ঘুরতেন তিনি অন্য দলে যোগদান করেছেন। আমরা এই ছাত্রের ব্যাপারে খোঁজখবর করছি।
এর পরই এই ঘটনায় বিরোধীদের চক্রান্তের তত্ত্ব খাড়া করেন কুণালবাবু। বলেন, সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস মিলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা এমন করে ঘটনাটি রেকর্ড করে প্রকাশ করে দিয়েছে যাতে তৃণমূলের ভাবমূর্তি খারাপ হয়। তৃণমূল কখনও এই ধরণের ঘটনাকে সমর্থন করে না। উপাচার্য পুলিশে FIR করুন। আমি পুলিশকে অনুরোধ করব অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে।
বলে রাখি, শুক্রবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে উপাচার্যের দফতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। তাদের মধ্যে ছিল গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল নামে এক বহিষ্কৃত ছাত্র। উপাচার্যকে অশালীন ভাষায় গালাগালি করতে শোনা যায় তাঁকে। এমনকী উপাচার্য মম্মহদ আলিকে চড় মারার হুমকি দেয় সে।
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সিপিএম ও বিজেপি। তাদের দাবি, রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনগুলিতে তৃণমূল নেতাদের মাতব্বরিতে শিক্ষকরা ভীত সন্ত্রস্ত। এর ফলে রাজ্যে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।