বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর তাই নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এখন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বালিগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন। আবার তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে কি যোগ দিতে পারে বাবুল? এমন প্রশ্ন নিয়েই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তার উপর বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে বাবুলের বিজেপি যোগের গুঞ্জন নতুন মাত্রা পেয়েছে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন রাজ্যের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
এদিকে এই গুঞ্জনে তো গোটা রাজ্যের নানা চায়ের দোকানে তুফান উঠেছে। কারণ বিজেপিতে ফিরছেন বাবুল সুপ্রিয়—এটাই আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে রাজ্যের মানুষের কাছে। এই আবহে বাবুল সুপ্রিয় ‘ঘর ওয়াপসি’র বিষয়টি সরাসরি খারিজ করে দিয়ে বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কেউ হয়তো কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে এমন জল্পনা উসকে দিচ্ছে। রাজনীতিতে তো আর বন্ধুর অভাব নেই! তবে আমি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’ এটা যে জল্পনা সেটা তিনি উল্লেখ করেছেন এবং কেউ ছড়িয়ে দিচ্ছে এসব বলেও দাবি করেন।
অন্যদিকে বাবুল সুপ্রিয় কিন্তু এই মন্তব্য করে থেমে থাকেননি বাবুল সুপ্রিয়। ফেসবুকে দিলীপ ঘোষকে তীব্র আক্রমণ করে বাবুল লিখেছেন, ‘দলের সমস্ত পদ থেকে বিদায় জানানো হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। এখন বাজে কথা বলে খবরে থাকার চেষ্টা করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ একজন ‘অ্যাক্সিডেন্টাল এমপি’। এত বছর ধরে ভার্বাল ডায়রিয়ার চিকিৎসা করাচ্ছেন না কেন? জানি না।’ আসলে বাবুলের এই আক্রমণের পিছনে কারণ আছে। মঙ্গলবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানে রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে কটাক্ষ করেন তিনি। দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘বাবুল সুপ্রিয় অবশ্যই ভাল গান করেন। কিন্তু রাজনীতিতে সবসময় বেসুরো থাকেন। রাজনীতিতে কোনওদিনই সুরে গান করেননি। যাঁরা রাজনৈতিক পর্যটক, তাঁরা কখনওই নীতি আদর্শের ধার ধারেন না। পার্টিও প্রয়োজনে দলে নেয় আবার ছেড়ে দেয়। তাই রাজনীতির বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: নিশিকান্ত দুবে–স্ত্রী অনামিকা ২ কোটি টাকা দাবি করার অভিযোগে মামলা, খোঁচা মহুয়ার
বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ২০২২ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর তাঁকে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটে জিতে পর্যটন দফতরের দায়িত্ব পান বাবুল। মন্ত্রিসভায় তাঁকে নিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন অবশ্য পর্যটন দফতর তাঁর নেই। অচিরাচরিত শক্তি দফতরের দায়িত্বে আছেন বাবুল সুপ্রিয়। সঙ্গে তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরও আছে। সুতরাং বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে এখন বিজেপিতে যাচ্ছেন না সেটা তিনি নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন।’