আবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস৷ শাসকদলের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজ্যপাল সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন৷ জগদীপ ধনখড় মানুষের মধ্যে বিভাজনও তৈরির চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়৷ রাজ্যপালকে নিয়ে ইদানিং জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী হাওয়ালা জৈন দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে জগদীপ ধনখড়ের নাম আছে বলে অভিযোগ করেছেন। তারপর থেকেই রাজ্য–রাজনীতি উত্তাল হয়ে পড়েছে।
সোমবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্য ভাগের চক্রান্ত করার অভিযোগও তুলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ তিনি দাবি করেছেন, ‘রাজ্যপাল দার্জিলিংয়ে গিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে নিজেই সেই ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল৷’ এই মন্তব্যের পর রাজ্যপাল বিতর্ক আরও বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরার সময় অভিযোগ করেছিলেন, জিটিএ–তে আর্থিক গরমিল রয়েছে৷ ক্যাগ–কে দিয়ে অডিট করানো উচিত৷ এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেন, ‘জিটিএ আইনে পরিষ্কার বলা আছে যে জিটিএ পার্বত্য বিষয়ক দফতরের মন্ত্রীর অধীনে থাকবে৷ এই দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজ্যপাল চাইলেই হিসেব তাঁর কাছে পৌঁছে যেত৷ কিন্তু সরকারের কাছে সেই হিসেব না চেয়ে তিনি প্রকাশ্যে সরকারের বদনাম করছেন৷ তিনি নিজেকে রাজ্যের অভিভাবক বলেন৷ অথচ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে যখন কেন্দ্রীয় সরকার হেনস্থা করছে তখন তিনি চুপ করেছিলেন৷’
রাজ্যপাল সরকারকে বদনাম করতে রাজভবনে বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে ডেকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করছেন বলেও প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘এই গেজেটগুলি রাজ্যপাল আদৌ ব্যবহার করতে পারেন কি না, করলেও তার রূপরেখা কী হবে, সংবিধানে তার কোনও ব্যাখ্যা নেই৷ কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করে দিক৷ কারণ অনেক রাজ্যপালই নিয়মিত এগুলি ব্যবহার করছেন৷ রাজ্য বিজেপি সভাপতি ব্যর্থ প্রমাণ করতে সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন রাজ্যপাল৷’