ধূপগুড়ির জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে অবিলম্বে বিধায়ক পদে শপথবাক্য পাঠ করানো হোক। এমনটাই চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কথা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই এবার রাজভবনে পত্রাঘাত করলেন পরিষদীয় মন্ত্রী। অবিলম্বে নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথের অনুরোধ জানিয়ে এই চিঠি লেখেন শোভনদেব। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের আবার আমেরিকা সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। সুতরাং এখন হাতে সময় আছে। আর তাই শপথবাক্য পাঠ করানো হোক নবনির্বাচিত বিধায়ককে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে জেতার পর দু’সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হয় ৮ সেপ্টেম্বর তারিখে। এই উপনির্বাচনে ৪৩৮৩ ভোটে জিতেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে বিজেপির জেতা আসন ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি। তাই কি এত দড়ি টানাটানি? উঠছে প্রশ্ন। এই জটিল পরিস্থিতিতে দ্রুত শপথ চেয়ে রাজভবনে চিঠি দিয়েছে পরিষদীয় দফতর। ইতিমধ্যেই একবার শপথের কথা উঠেছিল। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছেন, শপথ না নিলে মানুষের জন্য কাজ করতে পারছেন না ধূপগুড়ির বিধায়ক।
ঠিক কী আছে চিঠিতে? অন্যদিকে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় চিঠি পাঠাতেই কৌতূহল শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যপালকে পাঠানো চিঠিতে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় লেখেন, ‘হয় রাজ্যপাল শপথ পাঠ করান। না হলে বিধানসভার অধ্যক্ষকে দায়িত্ব দিন।’ রাজ্যপাল প্রথমে চেয়েছিলেন তিনি নিজে রাজভবনে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। কিন্তু সেটা রীতি বহির্ভূত। রাজ্যপাল শুধু মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন। বাকি বিধায়কদের বিধানসভার অধ্যক্ষ বা উপাধ্যক্ষ করিয়ে থাকেন। রাজভবন পরিষদীয় মন্ত্রীর চিঠি গ্রহণ করলেও এখনও পর্যন্ত কোনও জবাব দেননি।
আরও পড়ুন: বালুরঘাটের দুর্গাপুজোয় আমন্ত্রিত অমিত শাহ, সুকান্ত মজুমদারের ডাকে কি সাড়া দেবেন?
আর কী জানা যাচ্ছে? বিধায়ক থেকেও যদি শুধু শপথের কারণে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন সাধারণ মানুষ সেটা কখনই কাম্য নয়। তাই দ্রুত শপথ সেরে ফেলার দাবির পক্ষেই ধূপগুড়ির মানুষজন। রবিবারই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, এলাকার মানুষের সমস্যার বিষয়টি জানিয়ে রাজ্যপালকে যেন চিঠি লেখেন পরিষদীয় মন্ত্রী। সেই নির্দেশ মতোই সোমবার চিঠি পাঠান শোভনদেব। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে শোভনদেব বলেন, ‘রাজ্যপাল শপথ না নেওয়ালে, তাঁকে কিছু একটা করতে হবে। নির্দেশ দিতে হবে, তুমি করে নাও। তাঁকে তো ক্ষমতাটা দিতে হবে। সেটা তিনি না করলে চলবে। জানি না কী করবেন। সেটা তাঁর ব্য়াপার। আমার তো নয়। আমি তাঁর কাছে আবেদন করেছি। কোনও কড়া ভাষা ব্য়বহার করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে বলেছেন জানাবার জন্য।’