আবার কলকাতার কলেজে পোশাক ফতোয়া। এবার কলকাতার আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু কলেজে পোশাক ফতোয়া। কলকাতার মিন্টো পার্কের এই কলেজের ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্য়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সূত্রের খবর, মূলত ছেঁড়া ফাটা জিন্স নিয়েই কর্তৃপক্ষের মূল আপত্তি। এর জেরে শালীনতায় বিঘ্ন ঘটছে বলে তাদের দাবি। আর তার জেরেই এবার পোশাক ফতোয়া কলকাতার ওই কলেজে।
এমনকী ভর্তির আগে এনিয়ে মুচলেকাও দিতে হচ্ছে। অর্থাৎ লিখে দিতে হচ্ছে ছেঁড়া জিন্স বা অশালীন পোশাক পরে কলেজে আসব না। অনেকে এতে কিছুটা নিমরাজি হয়েও সইটা করেছেন। তবে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ এনিয়ে আপত্তি তোলা শুরু করেছেন। কারণ তাঁদের দাবি, জামাকাপড় পরার ক্ষেত্রে কেন এমন বাধা নিষেধ থাকবে? কেন জামাকাপড় পরার স্বাধীনতা থাকবে না? প্রাপ্ত বয়স্কদের এভাবে জামা কাপড় পরার ক্ষেত্রে নিয়ম শৃঙ্খলায় আবদ্ধ করা যায় না। এটা কোনওভাবেই ঠিক হচ্ছে না। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য কোনও আপত্তি শুনতে রাজি নয়। তাদের দাবি কলেজের মধ্যে ওসব চলবে না।
তবে শেষ পর্যন্ত এখন কার্যত কার জিত, কার হার হয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে। তবে এই কলেজের নির্দিষ্ট কোনও ইউনিফর্ম আছে এমনটা নয়। তবে কলেজে যে পোশাক পরে ছাত্রছাত্রীরা আসবেন তাতে যাতে শালীনতা বজায় থাকে সেব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু সেই অনুরোধ কতজন শুনবেন তা নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন রয়েছে।
তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তের রদবদল করে কি না সেটাই দেখার। তবে গতবারেও কলেজ কর্তৃৃপক্ষ এই অবস্থানে অনড় ছিল। তার মধ্য়েই কয়েকজন এই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখায় বলে অভিযোগ। এবার কলেজ কর্তৃপক্ষ নিয়ম পালনকে নিশ্চিত করার জন্য একেবারে আদা জল খেয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। অভিভাবকদের কাছ থেকে এনিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যাতে কোনও পড়ুয়া যদি ছেঁড়া ফাটা জিন্স পরে কলেজে আসার চেষ্টা করেন তবে তাতে যেন লাগাম পরান অভিভাবকরা। তবে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যাতে শৃঙ্খলতা বজায় থাকে সেকারণে গোটা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
আসলে টর্ন জিন্স পরাটা অনেকের কাছে বেশ স্টাইলের। কিন্তু সেই স্টাইল এবার কলেজের বাইরে। কলকাতার ওই কলেজের ভেতরে ওই ধরনের জিন্স পরা যাব না।