আবার সেই শ্রীভূমি। মহালয়া থেকেই কলকাতার সব রাস্তাই শ্রীভূমিমুখী। তবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে আগাম সতর্ক করে দিয়েছিলেন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু কে শোনে কার কথা। শ্রীভূমিগামী রাস্তায় সন্ধ্য়া নামলেই গিজগিজ করছে ভিড়। তার সঙ্গেই রাস্তায় গাড়ির দীর্ঘ লাইন। আর ওই রাস্তা দিয়ে যদি জরুরী ভিত্তিতে কারোর যাওয়ার ইচ্ছা থাকে তবে তা কার্যত অসম্ভব। এদিকে এখনও পুরোদমে পুজো শুরু হয়নি। তাতেই এই অবস্থা। এরপর কী হবে!
শ্রীভূমির পুজোর জন্য় যান চলাচল ব্লক হলে আমি তোমায় ব্লক করব। কার্যত মন্ত্রী সুজিত বসুকে এর আগে বলেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু সেই নির্দেশকেও কার্যত উপেক্ষা।
এই পুজো মন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো বলেই পরিচিত। প্রতিবারই এই পুজোতে নানা চমক থাকে। এবারও রয়েছে। তার সঙ্গেই রয়েছে যানজটের চমক। কার্যত একেবারে নাভিশ্বাস অবস্থা। ওই রাস্তায় যাওয়ার পরে অনেকেই বুঝতে পারছেন না এরপর কীভাবে যাব!
সময় ক্রমশ পেরিয়ে যাচ্ছে কিন্তু গাড়ি আর নড়ে না। কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোর রুমেও এনিয়ে ফোন আসছে। পুলিশ একেবারে চেষ্টা করছে না তা নয়। কিন্তু যেভাবে ভিড়োমিটারের কাঁটা যেভাবে এগোচ্ছে তাতে আর কোনও পথ নেই সাধারণ মানুষের।
এদিকে এই রুট ধরে বিমান ধরার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে যেতে চান। কিন্তু তাঁরাও বুঝতে পারছেন না আদৌ বিমান ধরা সম্ভব কি না!
তবে কলকাতা পুলিশের তরফে বলা হয়েছে বাইপাসের দিক থেকে কলকাতা বিমানবন্দর যেতে হলে চিংড়িঘাটা উড়ালপুল হয়ে নিউ টাউন হয়ে যেতে হবে। এভাবে গেলে কিছুটা ভিড় হয়তো এড়ানো যাবে।
সূত্রের খবর, মহালয়ার দিন থেকেই এই পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। তবে এখনও ঠাকুর দেখার প্রচন্ড ভিড় শুরু হয়নি। তার আগেই এই অবস্থা। দমদম পার্ক থেকে লেকটাউন অভিমুখের গাড়িও দাঁড়িয়ে পড়ছে। তবে পুলিশের দাবি একেবারে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ছে এমনটা নয়।
এদিকে বাগুইআটি, কৈখালি, ১ নম্বর, ২ নম্বর এয়ারপোর্ট এলাকার বাসিন্দারা অনেক ক্ষেত্রে ভেতরের রাস্তা ধরে আসছেন। বাসিন্দাদের একটাই প্রশ্ন, মহালয়া, প্রতিপদেই এই অবস্থা। এখনও গোটা পুজো পড়ে রয়েছে। এরপর কী হবে?