আবার কি রদবদল হতে চলেছে রাজ্য মন্ত্রিসভায়? এই প্রশ্নই এখন উঠতে শুরু করেছে রাজ্য–রাজনীতি। সূত্রের খবর, নয়াদিল্লি যাত্রার আগেই রাজ্য মন্ত্রিসভায় ছোট রদবদল করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৭ ডিসেম্বর নয়াদিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০ ডিসেম্বর বৈঠক রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ফিরতেই শুরু হয়ে যাবে বড়দিন এবং বর্ষবরণের উৎসব। সুতরাং মন্ত্রিসভার রদবদলের মধ্যে দিয়েই রাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রী এবং নতুন মুখকে সামনে নিয়ে এসে চমক দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী বলে খবর।
এদিকে মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে এখনও মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলেননি। নবান্ন থেকে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি। সুতরাং সরকারিভাবে এখনও না জানানো হলেও গুঞ্জন চরমে উঠেছে। জেলে বন্দি বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বন দফতরের দায়িত্ব রাষ্ট্রমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে ইতিমধ্যেই দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের রদবদলে তাঁকে পূর্ণমন্ত্রী করা হতে পারে। শিল্প পুনর্গঠন দফতরও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অধীনে ছিল। শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজাকে অতিরিক্ত দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। পর্যটন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তাঁকে পর্যটন দফতরের পূর্ণমন্ত্রী করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে রাজ্য মন্ত্রিসভায় জুড়তে পারে এক–দু’জন নতুন মুখ। তবে তাঁরা কারা সেটা খোলসা করা হয়নি। রাজ্য মন্ত্রিসভায় ৪৪ জন মন্ত্রী থাকতে পারেন। সেখানে সাধন পান্ডে এবং সুব্রত সাহার প্রয়াণের পর নতুন কাউকে মন্ত্রিসভায় আনা হয়নি। সেটা এবার আনা হতে পারে। ওই সব দফতরের দায়িত্ব সামাল দেন রাজ্যের মন্ত্রীরাই। তাতে সবদিকে খেয়াল রাখা কঠিন হয়ে পড়ছিল। তাছাড়া বেশ কিছু দফতর স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রয়েছে। সেগুলিও বন্টন করে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ আসতেই পারে।
আরও পড়ুন: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে ইডির তলব, হাজিরা দিতে হবে নয়াদিল্লিতে
এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে এখন নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্ব চলছে। সেটা নিয়ে নানা কথা প্রকাশ্যে আসে মাঝেমধ্যে। তবে মন্ত্রিসভায় নবীন–প্রবীণ মিল রাখতেও চান মুখ্যমন্ত্রী। এখন তা নিয়ে নবান্নের অন্দরে চর্চা চলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতাও নবীন–প্রবীণ নিয়ে মুখ খুলেছেন। তার মধ্যেই রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল হলে তা তাৎপর্যপূর্ণ হবে। কারণ একদিকে দলকে বার্তা দেওয়া যাবে। অপরদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তেড়েফুঁড়ে নেমে পড়া যাবে। তরুণ শক্তিকে কাজে লাগানো যাবে। যা এককথায় মাস্টারস্ট্রোক।