কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে যে ৩৬,০০০ জন প্রাথমিক শিক্ষককের চাকরি করার যোগ্যতামান রয়েছে। তাদের চাকরি গেলে হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না পর্ষদ। শুক্রবার হাইকোর্টের রায়ের পর বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে একথা বললেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাবে পর্ষদ। সেজন্য আইনি পরামর্শ নিচ্ছে তারা।
এদিন গৌতমবাবু বলেন, ‘ইতিমধ্যে বোর্ড আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করেছে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আমরা আবেদন করতে যাচ্ছি। ৩৬,০০০ প্রাথমিক শিক্ষক যারা এখন চাকরি করছেন তাঁরা আর অপ্রশিক্ষিত নেই। বোর্ড সবাইকেই ট্রেনিং করিয়েছে দূরশিক্ষার মাধ্যমে। ২০১৯ সালের মধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হয়েছে। NCTE-র নিয়ম মেনেই বোর্ড তাদের নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৭ সালের জানুয়রি মাসে শুধুমাত্র প্রশিক্ষিতদের নিয়োগ দিয়েছিল বোর্ড। পরবর্তীকালে অপ্রশিক্ষিতদের NCTE-র নির্দেশিকা অনুসারে বোর্ড প্রশিক্ষণ দিয়েছে’।
তাঁর দাবি, ‘যারা এখন চাকরি করছেন তাদের চাকরি করার সমস্ত যোগ্যতামান রয়েছে। তাদের চাকরি চলে যাবে আর পর্ষদ সেই দায়িত্ব অস্বীকার করবে এটা হতে পারে না। আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। পর্ষদ সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেবে। আমি নিশ্চিন্ত করছি, বোর্ড যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে’।
শুক্রবার এক রায়ে ২০১৬ সালে নিযুক্ত রাজ্যের ৩৬,০০০ প্রাথমিক শিক্ষককে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করে এদের চাকরি দিয়েছে পর্ষদ। একই সঙ্গে সংরক্ষণ নিয়ম না মানা ও যথাযথ অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।